প্রতিবেদন: ঝড়ের দাপটের সঙ্গে লাগাতার প্রবল বর্ষণের পর ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমেল। সোমবার এটি বঙ্গোপসাগর উপকূল অতিক্রম করে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে গিয়ে দুর্বল হয়ে স্থলভাগের উপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলাগুলিতে রবিবার থেকে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, সোমবারও চলছে অবিরাম মুষলধারে বৃষ্টি। জোয়ারের জলে দেশের নিম্নাঞ্চলগুলি প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টি আর জোয়ারের জলে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। বেশ কয়েকটি জেলা বিদ্যুৎহীন। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, পটুয়াখালি ও ভোলায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে খুলনার নিম্নাঞ্চল।
আরও পড়ুন-ইজরায়েলি সেনা খুন করল ভারতীয় সেনার প্রাক্তন কর্মীকে, মোদিকে চিঠি প্যালেস্টাইনের প্রধানমন্ত্রীর
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলিকে ২৮ মে পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য গাছ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উপড়ে পড়েছে। খুলনা শহর ও জেলার প্রায় পুরোটাই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মুজগুন্নী, লবণচরা, মোল্লাপাড়া, টুটপাড়া, মহিরবাড়ি খাল পাড়, শিপইয়ার্ড সড়ক, চানমারি বাজার, রূপসা-সহ বিভিন্ন এলাকা জলে তলিয়ে গিয়েছে। সোমবার খুলনা শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। রাস্তাঘাট যানবাহন ও জনমানবশূন্য। ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জোয়ার প্রবাহিত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে জেলা শহরসহ সেখানকার উপকূলের অনেক গ্রাম জলে প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলা এম বালিয়াতলি ইউনিয়নের পালের বালিয়াতলি ও বদরখালি ইউনিয়নের বাওয়ালকর এলাকায় বাঁধ ভেঙে ১০-১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।