প্রতিবেদন: ফিরে এসেছেন বন্ধুর বেশেই, কিন্ত এমন বন্ধুকে নিয়ে বিহারে ঘোর বিপদে বিজেপি শিবির। প্রশ্ন উঠেছে, নীতীশ কি আবার নতুন কোনও ছক কষছেন? সপ্তম দফা তথা শেষ দফা নির্বাচনের মুখে আবার গেরুয়া শিবিরকে গভীর অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউ-সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। পাটনা সাহিবে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলে বসলেন, নরেন্দ্র মোদিকেই আমরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই আবার। তাঁরই আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। একথা শুনেই সভাজুড়ে ওঠে হাসির রোল।
আরও পড়ুন-নগদ ছাড়াই এবার হবে বক্সা প্রবেশ
অন্যদিকে অস্বস্তিতে গলদঘর্ম অবস্থা পাশে বসা বিজেপি নেতাদের। বিজেপি নেতারা ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পরে নীতীশ অবশ্য নিজেকে সংশোধন করে নিয়ে বললেন, কথাটা মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন তিনি, আসলে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আবার দেখতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু অনেকেই এর নেপথ্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মুখ ফসকে নয়, আবেগের বশে মনের কথাটাই বলে ফেলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নীতীশের দীর্ঘদিনের। সেই বাসনা পূরণ করতেই মনেপ্রাণে তিনি অবনমন কামনা করেন মোদির। চাইছেন মোদি আবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফিরে যান। জনসভায় অসতর্ক মুহূর্তে সেই ইচ্ছেটাই মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে জেডিইউ সুপ্রিমোর। অনেকে আবার মনে করছেন, গুরুত্ব হারিয়ে তীব্র হতাশায় ভুগছেন নীতীশ। এইসব অসংলগ্ন কথাবার্তা সেই হতাশারই বহিঃপ্রকাশ। আসলে বারবার শিবির বদল করায় বিহারে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা, দুটোই তলানিতে। এটা ঘটনা যে নির্বাচনী প্রচারে খুব জরুরি না হলে নীতীশকে এড়িয়ে চলতে চাইছেন মোদি-শাহ। কারণ, এই প্রথম নয়, আগেও নীতীশের কথাবার্তা গভীর অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল গেরুয়া শিবিরের। বিরোধীদের কাছেও আর তেমন গুরুত্ব নেই তাঁর।
আরও পড়ুন-লিঙ্গ নির্ধারণের চেষ্টায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে কোপ, আজীবন কারাবাস স্বামীর
এদিকে যেখানে এমন বেফাঁস মন্তব্য করে বিজেপিকে বিপাকে ফেলে দিলেন নীতীশ, সেই পাটনা সাহিব আসনে কিন্তু এবারে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপি প্রার্থী রবিশংকর প্রসাদের বিরুদ্ধে এবারে কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছে প্রবাদপ্রতিম নেতা বাবু জগজীবন রামের নাতি অনশুল অভিজিৎকে। অভিজিতের মা লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষা মীরা কুমার। লোকসভা নির্বাচনে প্রথম লড়তে আসা অভিজিৎকে জেতাতে সর্বশক্তি নিয়ে নেমে পড়েছেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব এবং তাঁর দল আরজেডি।