প্রতিবেদন: অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হোক অন্তত আরও ৭ দিন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই আর্জি জানালেন আপ-সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জরুরি কিছু শারীরিক পরীক্ষার জন্যই তাঁর এই আবেদন বলে জানিয়েছেন। আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিছুদিন ইডি হেফাজতে থাকার পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি দিল্লি হাইকোর্টে গেলেও মঞ্জুর হয়নি জামিনের আবেদন। শেষে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। নির্বাচনী প্রচারের জন্য জামিন চান কেজরিওয়াল। ১০ মে তাঁকে শর্তাধীন অন্তর্বর্তী জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জামিনের মেয়াদ ১ জুন পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-বারবার বেফাঁস নীতীশ কুমার, বিহারে বিপাকে পড়েছে এনডিএ, গুরুত্ব হারিয়ে হতাশার বহিঃপ্রকাশ!
অর্থাৎ শেষপর্বের নির্বাচন পর্যন্ত। ২ তারিখেই তাঁকে জেলে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আপের বক্তব্য, তাঁর ৭ কেজি ওজন কমেছে। কিটোনের মাত্রাও শরীরে অস্বাভাবিক পরিমাণে বেশি। এটা হতে পারে কোনও কঠিন রোগের লক্ষণ। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পিইটি-সিটি স্ক্যান সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে আপের রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালের হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত কেজরিওয়ালের আপ্তসহায়ক বৈভব কুমারের জামিনের আবেদনের শুনানি হয় সোমবার। স্বাতী আদালতে গিয়ে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, বৈভবের জামিন তাঁর ও তাঁর পরিবারের পক্ষে অত্যন্ত বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইতিমধ্যেই জার্মানির ইউটিউবার ধ্রুব রাঠীর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন স্বাতী। আপের অবশ্য অভিযোগ, বিজেপির দাবার বোড়ে স্বাতী। ভৈববের জামিন খারিজ হয়ে যায় এদিন।