প্রতিবেদন : ফের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মুখ পুড়ল বিজেপির। নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নিয়ে হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও জোর ধাক্কা খেল তারা। নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নিয়ে বিজেপির করা মামলাই শুনল না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরকালীন বেঞ্চ। সোমবার বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, এসব বিজ্ঞাপন অন্যকে খাটো করে দেখানো, এতে আপনাদেরই শুধু লাভ হয়। ভোট ঘিরে সংবাদপত্র এবং টিভি-মাধ্যমে বিজেপির দেওয়া বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কমিশন কোনও পদক্ষেপই করেনি। এরপরই বিজেপির জোড়া বিজ্ঞাপনে আপত্তি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। সেখানে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ না করে বিজেপিকে নিজের এক্তিয়ার বুঝিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছিল, যেকোনও বিজ্ঞাপনের লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত। এরপরেই এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছিল বিজেপি। এবার সেখানেও ভর্ৎসনার মুখে পড়ল বিজেপি। সোমবার শীর্ষ আদালতের অবসরকালীন বেঞ্চে বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী এবং কে ভি বিশ্বনাথনের সামনে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আদালত বিজেপির তরফে কোনও রকম সাফাই না শুনে জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞাপনগুলিতে অপরকে আক্রমণ করা হয়েছে। নিজের প্রচার করা যায়, কিন্তু অপরকে আক্রমণ করে নয়।
আরও পড়ুন- মোদি সরকারের রোষানলে দেশের গর্ব সেই পায়েল
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, বাংলা-বিরোধী বিজেপি। বাংলার বিরোধিতা করতে গিয়ে এই তৃতীয়বার চড় খেল বিজেপি। প্রথম দুটো চড় হল সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলল এই ধরনের পিটিশন গ্রহণই করব না! বাংলার সম্বন্ধে মিথ্যে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের নামে কুৎসা— এই বিভ্রান্তি তৈরি করা যে উচিত নয় তা সুপ্রিম কোর্টও বলছে। বাংলা-বিরোধী বিজেপি আবার চড় খেল। এর পরে গণতন্ত্রের পরীক্ষাতেও চড় খাবে ৪ জুন।
বিজেপির শীর্ষ আদালতে মুখ থুবড়ে পড়ার বিষয়টিতেই তৃণমূলের নৈতিক জয়। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপির এই বিজ্ঞাপনগুলি ভুল তথ্য দেয় নয়তো তৃণমূলকে কুৎসিত আক্রমণ করে। নয়তো দেখা যায়, তৃণমূল যে অভিযোগগুলো করছে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে সেগুলোকেই তারা মান্যতা দিচ্ছে।