রৌনক কুণ্ডু, কোচবিহার: রাজ্যের উদ্যোগে মেখলিগঞ্জে তৈরি হয়েছে ডিম উৎপাদন কেন্দ্র। লক্ষ্যপূরণের পথে এগিয়ে চলেছে এই কেন্দ্র। চলতিবছরের মধ্যেই আরও কয়েকটি ইউনিট চালু হবে, এরফলে হবে বিপুল কর্মসংস্থানও। সম্প্রতি মেখলিগঞ্জের ওই লেয়ার ফার্ম ঘুরে দেখেন কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা-সহ পদস্থ কর্তারা। জেলাশাসক কথা বলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও। যেখানে ইতিমধ্যে দৈনিক ৮০ হাজার ডিম উৎপাদন শুরুও হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে ওই ফার্মে ডিমের দৈনিক উৎপাদন ৩ লাখ করার লক্ষ্যমাত্রাপূরণেও জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-স্ট্রংরুমে সিসিটিভি বন্ধ, ষড়যন্ত্রের শঙ্কা তৃণমূলের
কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে ডিম উৎপাদনে কোচবিহার জেলাকে স্বনির্ভর করে তোলার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে ওই প্রকল্প নেওয়া হয়। একটি ইউনিট চালু হয়েছে। নিয়মিত ডিম উৎপাদন নিয়ে প্রশাসন তদারকি করছে ও রিপোর্ট নিচ্ছে। প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পে রাজ্য সরকারের প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কোচবিহার জেলায় ডিমের চাহিদার একটি বড় অংশ ভিনরাজ্য নির্ভর। সবকটি ইউনিট চালু হলে জেলার ডিমের জন্য বাইরের রফতানির ওপর নির্ভরতা কমবে। ডিমের গুণগতমান নিয়েও সমস্যার আশঙ্কা থাকবে না। জানা গিয়েছে, ওই ফার্মে উৎপাদিত ডিম প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন নিগম কর্তৃপক্ষের ‘ব্রান্ডিং’য়ে বাজারজাত হচ্ছে। চাহিদাও ভাল। প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন নিগম লিমিটেড ওই ফার্ম তৈরির কাজ করছে। বর্তমানে ৪৫ জন কর্মী সেখানে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে লক্ষাধিক পোলট্রি মুরগি ফার্মে আনা হয়েছে। একটি ইউনিট চালু হতেই দৈনিক গড়ে ৮০ হাজার ডিম উৎপাদন শুরু হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দৈনিক ডিমের উৎপাদন বেড়ে ২ লক্ষ করার চেষ্টা হচ্ছে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে আরও নতুন ইউনিট চালু করে দৈনিক ৩ লক্ষ ডিম উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রাও মাথায় রাখা হচ্ছে।