প্রতিবেদন : তৃতীয়বর্ষের এক ছাত্রকে পিটিয়ে খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ছাত্র-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় পাটনা শহরের বেশ কিছু এলাকায়। বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। সোমবার পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানগঞ্জ ল কলেজ ক্যাম্পাসে স্নাতকস্তরের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ২২ বছরের হরষ রাজ আক্রান্ত হন একদল লোকের হাতে। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় বিকেলে হামলার ঘটনাটি ঘটে। আক্রমণকারীদের মুখ ছিল মুখোশে ঢাকা। হাতে লাঠি। আক্রমণকারীরা পিটিয়ে মারে হরষকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। খুনিদের কঠিন শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হন পাটনার সাধারণ মানুষও। সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য নীতীশ কুমারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি-জেডিইউ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। আরজেডি নেতার কথায়, এমন নৃশংস ঘটনা আমাদের সময়ে ঘটলে ওরা রাস্তায় নেমে গলা ফাটিয়ে বলত, জঙ্গলরাজ চলছে। কিন্তু এখন তারা কী করছে?
আরও পড়ুন-সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন ৮ সপ্তাহ সময় বেঁধে দিল কোর্ট
তবে প্রবল চাপে পড়ে পুলিশ দাবি করেছে, এই নৃশংস খুনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত চন্দন কুমার পাটনা কলেজের জ্যাকসন হস্টেলের আবাসিক। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি এন কলেজের ছাত্র হরষ রাজকে পিটিয়ে খুন করার নেপথ্যে আসল চক্রান্তকারী চন্দনই। বাকিদেরও খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিহারের গেরুয়া পুলিশ-প্রশাসনের অপদার্থতার পরিণতিতেই এই খুন। পিটিয়ে মারার ঘটনার কিনারা করতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হলেও এই খুনের সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে সিটের ধারণা, ঘটনার নেপথ্যে পুরনো শত্রুতা। গতবছরের দশেরায় ‘ডান্ডিয়া নাইট’কে কেন্দ্র করে দু-দলের মধ্যে কথা কাটাকাটির পরিণতি এই ঘটনা।