প্রতিবেদন: বাংলায় তেমন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে না পারলেও উত্তর-পূর্বের পড়শি রাজ্যগুলি এখনও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। ইতিমধ্যে অসম, মিজোরাম, মেঘালয়-সহ একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে রেমালের ভয়াবহতা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেমালের প্রভাবে এখনও পর্যন্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কমপক্ষে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি ধস ও হড়পা বানে নিখোঁজ অনেকেই। উত্তর সিকিমে তিস্তায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বুধবার অসমের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রবিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে ঘূর্ণিঝড় পুরোপুরি বাংলাদেশে চলে গেলেও এর প্রভাব এখনও রয়ে গিয়েছে উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যগুলিতে। অসমের উপরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। এর জেরে অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে লাগাতার ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মিজোরামে। আইজল, মেলথাম, হিলমেন, সালেম -সহ একাধিক জায়গায় কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। অসমে ঝড়-বৃষ্টিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত কমপক্ষে ১৮ জন। অসমের সোনিতপুরে একটি স্কুলবাসের উপরে গাছ ভেঙে পড়ে আহত হয় ১২ জন শিশু। মেঘালয়ে কমপক্ষে ২ জনের মৃত্যু ও ৫০০ জন আহত হয়েছেন।