দেশে ফিরতে কর্ণাটক পুলিশের হাতে গ্রেফতার যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত প্রজ্জ্বল রেভান্না (Prajwal Revanna)। গ্রেফতারের পর প্রজ্জ্বল রেভান্নার মেডিক্যাল পরীক্ষার করা হয়। শুক্রবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে। কর্ণাটক সরকার আগেই জানিয়েছিল, কোনও রেয়াত নয়। সেই অনুযায়ী দেশে ফিরতেই গ্রেফতার হলেন জেডিএস থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ রেভান্না।
এদিন কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর কর্ণাটক সরকারের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)
রেভান্নাকে (Prajwal Revanna) গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরুর সিআইডি অফিসে নিয়ে আসে। বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করা এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে যৌন হেনস্থা, অপরাধমূলক কাজ ও ভয় দেখানোর জন্য বিশেষ তদন্তকারী দলের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে রেভান্নাকে। কূটনৈতিক পাসপোর্টে দেশ ছাড়ার প্রায় এক মাস পর জার্মানির বার্লিন থেকে ভারতে ফিরলেন রেভান্না ৷ এরপরই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। সিটের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অশ্লীল ভিডিও, যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় রেভান্নাকে শুক্রবারই আদালতে পেশ করা হবে। সিটের সদস্যরা রেভান্নার দুটি ব্যাগও বাজেয়াপ্ত করেছে ৷
আরও পড়ুন: বিভাজনের রাজনীতি করে পদমর্যাদা ধুলোয় মিশিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, খোলা চিঠিতে নিশানা মনমোহনের
অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুতে সিআইডি অফিসের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ৷ বিদেশে গা ঢাকা দেওয়ার পর গত ২৭ মে প্রজ্জ্বল রেভান্না একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন, তিনি ৩১ মে সিটের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হবেন। একই সঙ্গে, রেভান্না জানিয়েছিলেন, তাঁর বিদেশ সফর পূর্ব পরিকল্পিত ছিল ৷ কারণ, ২৬ এপ্রিল কর্ণাটকে সাধারণ নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণের সময় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল না। পাশাপাশি, তিনি রাজনৈতিক পরিবেশে বেড়ে উঠছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেছেন।
এদিকে গত ২৯ মে রেভান্নার করা আগাম জামিনের আবেদনটি এখনও আদালতে বিচারাধীন। রেভান্নার আগাম জামিনের আবেদন দায়ের করা হয়েছিল এই মামলার সঙ্গে জড়িত দুই প্রধান অভিযুক্তকে সিট গ্রেফতার করার কয়েক ঘন্টা পরেই।