প্রতিবেদন : বিজেপির পতনের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন— শনিবার সপ্তম ও শেষ দফা ভোটে বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা হবে। আর বাংলার মানুষ শেষ দফার ভোটের দিনে যেন সেই কথা প্রমাণই করে দিলেন। ভোট শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সেই সুর শোনা গেল মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজার গলাতেও। ব্রাত্যর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসই বেরিয়ে আসবে। বহিরাগত ও বাংলা-বিরোধীদের বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। বাংলার ন্যায্য অধিকার আদায়ে দিল্লির কৃষি ভবনে আন্দোলনরত আমাদের নেতা-নেত্রীদের নির্মমভাবে আক্রমণ থেকেই বাংলা-বিরোধী বিজেপির পতন শুরু। শনিবার সপ্তম দফার নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বিজেপির পতন সম্পূর্ণ করলেন বাংলার জনগণ।
লোকসভা নির্বাচনকে অকারণে দীর্ঘায়িত করার বিষয়কে নিন্দা করেছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর মতে, বেশ কিছু মানুষ যাতে প্রচারে সময় পায়। যাতে নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রচার করতে পারে সেই কারণেই নির্বাচনকে এত দফায় ভাঙা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে সাধারণ মানুষ ভরসা রেখেছেন তা ভোটদানের গতিই প্রমাণ করছে। একই সঙ্গে ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়ার জন্য তিনি সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের সদস্য-কর্মী-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-গরমে সুস্থ থাকুন
ডাঃ শশী পাঁজা বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে এদিন বিরোধী প্রার্থীরাই নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বারেবারে অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। সন্দেশখালি-সহ একাধিক জায়গায় প্ররোচনা ও গন্ডগোল পাকিয়ে ভোট বানচালের চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু রাজনীতি সচেতন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা রুখে দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের যে দৃঢ় বিশ্বাস সেটাও উঠে এসেছে এই সাত দফা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে। সব থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে বাংলায়। এটা সম্পূর্ণভাবে বিজেপির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যে কেন্দ্র বাহিনীকে এনে ওরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কাজ করাতে চেয়েছিল সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ওদের হতাশাগ্রস্ত করে দেবে সেটা ওরা বুঝতে পারেনি। সাফ কথা দলের। আগামী ৪ তারিখ বাংলার আকাশে শুধুই সবুজ আবির উড়বে, বলেন ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা। এদিনের ৯টি কেন্দ্রেই দাপটের সঙ্গেই ভাল ব্যবধানে জিতবেন তৃণমূল প্রার্থীরা।