প্রতিবেদন: ভোটের শতাংশের হারে আবার দেশের সেরা বাংলা। শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফায় বাংলার ৯ লোকসভা আসনে ভোট ৬৯.৮৯ শতাংশ। এই নিয়ে অধিকাংশ পর্বেই শ্রেষ্ঠত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখল বাংলা। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে পাশাপাশি দুই রাজ্যে দুই বিপরীত ছবি। বিহারে ভোট পড়ল সবচেয়ে কম আর পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ভোট পড়ল তার চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। নির্বাচন কমিশনসূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে ভোট পড়েছে ৬৮ শতাংশ, বিহারে ৪৮ শতাংশ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত সারাদেশে ভোট পড়েছে ৫৮.৩ শতাংশ। অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষপর্বে শনিবার সাধারণভাবে উঠে এল এই ছবিটাই। এদিন মোট ৮টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোটগ্রহণ হল মোট ৫৭ লোকসভা আসনে।
আরও পড়ুন-দায়ী গেরুয়া সরকারের অপদার্থতা, অসমে ভয়াবহ বন্যা, মৃত ৮, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩ লক্ষ
ওড়িশায় ৬ লোকসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি ভোট হল ৪২টি বিধানসভা আসনেও। বিহারে সস্ত্রীক ভোট দিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। রাবড়িদেবীকে পাশে নিয়ে বেশ খোশমেজাজেই ভোট দিলেন আরজেডি সুপ্রিমো। লালুপুত্র তেজস্বী ভোট দিয়ে গেলেন হুইলচেয়ারে বসে। অসুস্থতার কারণে। সঙ্গে ছিলেন দাদা তেজপ্রতাপ। আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা ভোট দিলেন পাটনাতেই। পঞ্জাবের আপ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও ভোট দিয়ে গেলেন সস্ত্রীক। চণ্ডীগড়ে ভোট দিলেন অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন এক প্রৌঢ়া। এদিনের সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভোটকেন্দ্র হিমাচলের তাশিগাংগে। ১৫,২৫৬ ফুট উচ্চতায় এই ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা দুটি গ্রাম মিলিয়ে মোট ৬২। শেষ পর্বে পাঞ্জাবের ১৩টি লোকসভা আসনেই এদিন একসঙ্গে ভোট হয়। এখানে লড়াই ছিল চতুর্মুখী। লড়াইয়ে ছিল আপ, কংগ্রেস, আকালি দল এবং বিজেপি। হিমাচল প্রদেশে ৪টি লোকসভা আসনেই এদিন ভোটগ্রহণ হয়। সেই সঙ্গে উপনির্বাচন হয় ৬টি বিধানসভা আসনেও। তবে সব মিলিয়ে সপ্তম তথা শেষ পর্বের নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণই।