প্রতিবেদন : বাংলার বিরোধী দলগুলি প্রত্যেকবার ভোটের পরেই নির্বাচনী হিংসার অভিযোগ করে কমিশনের দ্বারস্থ হয়। এবার বিরোধীদের সেইসব অভিযোগকে সমূলে উৎপাটন করে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়ে দিলেন, বাংলায় ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ। অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরমে ভোট করানো নিয়ে বারবার সরব হয়েছিলেন। এদিন কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথাকে মান্যতা দিয়ে এবং নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তৃণমূল কংগ্রেস বারবার এই তীব্র গরমে ভোট করানো নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। এদিন কার্যত নিজেদের সেই দোষের কথা মেনে নিয়েই কমিশন একপ্রকার স্বীকার করে নেয় এই তীব্র গরমের মধ্যে ভোট করানো একেবারেই উচিত হয়নি। বরং আরও একমাস আগে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত ছিল।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এদিকে, ভোট মিটতেই রবিবার রাতে উত্তর কাশীপুর থানার মাঝেরআইটে নতুন করে বোমাবাজি হয়। কুলতলিতে বাড়়িতে ঢুকে তৃণমূলের মহিলা সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। নিউ টাউনে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই আক্রান্ত হন এক তৃণমূলকর্মী। ফলে ভোট-পরবর্তী অশান্তি নিয়ে চিন্তা থাকছেই। তবে ভোট-পরবর্তী হিংসা যাতে না হয় সেই বিষয়েও কড়া নিরাপত্তা থাকবে বলে জানান তিনি। আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। রাজীব কুমার এদিন বলেন, নির্বাচনে যেভাবে হিংসার ঘটনা দেখা যেত এবার তেমন কোনও ঘটনা দেখা যায়নি। এটাই নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাফল্য। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মণিপুর, ত্রিপুরা— কোথাও হিংসার কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। বুলেট নয় ব্যালটেই গুরুত্ব দিয়েছে বাংলার মানুষ।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কথায়, আগে নির্বাচনে যে ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটত তা বন্ধ করা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু এবারে বাংলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কোনওরকম হিংসার ঘটনা ঘটেনি। পোলিং স্টেশনের পরিবেশও ছিল উৎসবমুখর।