সংবাদদাতা, রামপুরহাট : প্রান্তিক পরিবারের ছেলে মাহফুজ আলম। কিন্তু চোখে অনেক বড় স্বপ্ন। নলহাটির কয়থা হাসপাতাল মোড়ের কাছে বাসস্ট্যান্ডে বাবা মুজিবর রহমানের চায়ের দোকান। নিজেও রোজ সেই দোকানে বসে চা বিক্রি করে বাবাকে সাহায্য করেন। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে আছে অদম্য জেদ আর পরিশ্রম। মাহফুজ ওরফে রাহুল ৫ মে মেডিক্যালের জন্য নিট পরীক্ষায় বসেন।
আরও পড়ুন-কীর্তির মতে,মায়েরাই আসল জায়ান্ট কিলার
১ জুন রেজাল্ট বেরোতে দেখা যায় ৭২০-র মধ্যে ৬৭৩ পেয়ে ১২,৭৫৩ র্যাঙ্ক করেছেন তিনি। বাইরে কোচিং নেওয়ার সামর্থ্য ছিল না মাহফুজের। সাফল্য পেতে বাড়িতে পড়াশোনা আর অনলাইনে কোচিং ছিল ভরসা। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। মা মারিয়াম বিবি গৃহবধূ। বাবা বাড়িতে খেতে এলে রোজ দু’ঘণ্টা চায়ের দোকান চালাতে হয় মাহফুজকে। কয়থা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল থেকে পড়াশোনা করে বরাবর ক্লাসে প্রথম বা দ্বিতীয় হতেন। ২০২১-এ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯২ শতাংশ এবং ’২৩ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ৮৫ শতাংশ মার্কস পান। এরপর নিটে বসেই সাফল্য। কার্ডিওলজিস্ট হিসাবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান নলহাটির এই মেধাবী ছাত্রটি।