প্রতিবেদন : শপথ নিতে এখনও ৩০ ঘণ্টা বাকি। জোটের বৈঠকে ‘হম এক’ দেখানোর অক্লান্ত চেষ্টা চালালেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু উদ্বেগ ঢাকা গেল না। বলা উচিত উদ্বেগ ঢাকতে দিল না এনডিএ-র শরিকরাই। চাওয়া-পাওয়ার গরমিলে প্রবল বাদ-বিসম্বাদ দলে-জোটে। আপাতত তুষের আগুনের মতো ধিকিধিকি জ্বলছে। যেকোনও সময় অগ্নিস্ফূলিঙ্গের আকার নিতে পারে।
আরও পড়ুন- আজ কালীঘাটে বৈঠক সাংসদ ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে, নবান্নে মঙ্গলবার
ম্যায় থেকে হাম হয়েছেন। বিজেপি থেকে এনডিএ হয়েছেন। ৫৬ ইঞ্চি কমতে কমতে এখন চল্লিশের কোটায় ঘোরাফেরা করছে। নীতীশ-চন্দ্রবাবু মন্ত্রকের চাপ তো আছেই, এবার কয়েকটি নির্দলও দাবি জানাচ্ছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষণটি দিয়েছেন তা একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে কোন চোখে তারা দেখছেন বিজেপিকে। এটা যে শুধু সময়ের খেলা তা হাবেভাবে স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) রাতের ঘুম ছুটেছে মন্ত্রিসভা তৈরি করতে গিয়ে। এক আঞ্চলিক দলের নেতা তো বলেই দিয়েছেন প্রস্তাব পছন্দ না হলে এই পরিস্থিতি কয়েক দিনের। বিজেপিরও অনেক সাংসদ রয়েছেন যাঁরা প্রত্যাশী। শুধু তাই নয়, আরএসএস এবার চেপে ধরেছে মোদিকে। হেড কোয়ার্টার থেকে স্পষ্ট নির্দেশ, দল চলবে তাদের কথায়। সরকার চালাবে দল। আমি-আমি আর শোনা হবে না কোনওমতেই। ঘরে-বাইরে এই প্রবল চাপের মাঝে এনডিএ-র উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়া। তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক বৈঠকে রাজধানীতে প্রবল চাঞ্চল্য। কিন্তু কোনও কিছুরই সঠিক ঠিকানা পাচ্ছে না এনডিএ। ইন্ডিয়া চাঙ্গা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কৌশলে দিকনির্দেশ করেছেন, তাতেই সিলমোহর দিয়েছে জোট। অর্থাৎ ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ পদ্ধতি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা। আগামী দিনের রাজনৈতিক সমীকরণ আকর্ষণীয় হতে চলেছে।