প্রয়াত ভারতের অন্যতম ‘মিডিয়া ব্যারন’ এবং রামোজি ফিল্ম সিটির প্রধান রামোজি রাও (Ramoji Rao)। দীর্ঘদিন ধরে বয়সজনিত অসুস্থতার জন্য তিনি ভুগছিলেন। শুক্রবার স্বাস্থ্যের অবনতির হওয়ায় তাঁকে রামোজি ফিল্মসিটিতে তাঁর বাসভবন থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই শনিবার সকালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তাঁর মৃত্যুতে ইটিভি নেটওয়ার্ক পরিবারসহ তেলুগু সংবাদমাধ্যমের সকলেই প্রকাশ করেছে। রামজি রাওয়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- মহাকাব্যের জামাই আদর
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “রামোজি রাও-এর (Ramoji Rao) মৃত্যুতে শোকাহত। Eenadu গ্রুপ, ETV নেটওয়ার্ক এবং একটি বৃহৎ ফিল্ম সিটির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বিশেষভাবে তেলুগু এবং সমগ্র আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক-যোগাযোগ জগতের একজন মশালবাহক ছিলেন। আমি তাঁকে ভালো করেই চিনতাম। তিনি একবার আমাকে তার স্টুডিওতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। যেখানে আমি তাঁর সঙ্গে এবং একজন রাষ্ট্র নেতার দেখা করেছি। এবং সেই উপক্ষ্যটিও আমার এখনও খুব ভালোভাবে মনে আছে। আমি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অগণিত অনুগামীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”
Saddened to know about the demise of media leader Ramoji Rao. Founder head of the Eenadu group, ETV network and a large film city, he was a torchbearer of specifically Telugu and generally the entire regional cultural-communication world.
I knew him well, and have personal…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 8, 2024
চেরুকুরি রামোজি রাও নামেও পরিচিত ছিলেন তিনি। নয়ের দশকে হায়দরাবাদে ফিল্মসিটির গোড়াপত্তন করেন তিনি। বলিউড, টলিউড-সহ ভারতীয় সিনেমার অন্যতম ‘সিনে শহরে’ শুটিং হয়েছে ‘বাহুবলী’র মতো একাধিক মেগা বাজেটের ছবি। পাশাপাশি রামোজি ফিল্মসিটি হায়দরাবাদের অন্যতম জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট। রামোজি রাও ছিলেন খ্য়াতনামা চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং প্রযোজনা সংস্থা উষাকিরণ মুভিজের প্রধান ছিলেন। তিনি জাতীয় পুরস্কার এবং দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছিলেন।