ভোট মিটতেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ, শনিবার বিকেলে কালীঘাটে এই বৈঠকে যোগ দেন হবু সাংসদরা। আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়বে বলেই এদিন স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লোকসভার নেতা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, উপ-দলনেতা হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। চিফ হুইপ হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অন্যদিকে রাজ্যসভার নেতা হিসাবে থাকছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। উপ-দলনেতা হিসাবে থাকছেন সাগরিকা ঘোষ, চিফ হুইপ হচ্ছেন নাদিমুল হক। চেয়ারপার্সন হিসাবে থাকছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন তিনি বৈঠক থেকেই জানান ডেরেক, নাদিম, দোলা ও আরও কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবেন। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হবে। শেয়ার বাজার নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বৃক্ষরোপণের প্রক্রিয়া শুরু করলেন দেব
বৈঠক শেষে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”আমাদের ৩-৪টে সিটে জোর করে হারানো হয়েছে। এই জয়ের উৎসব পালন করা হবে ২১ শে জানুয়ারি। মনে হচ্ছে যেন একটা লুঠের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ২০১৯সালে লোকসভা ভোটে আমরা বিধানসভায় এগিয়ে ছিলাম ১৬১ আসনে। আর গতবারে বিজেপি ছিল ১২১টি। ২০২৪ এর ভোটে বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৯০টাতে। সাট্টাবাজার, শেয়ার বাজারে বড় স্ক্যাম হয়েছে। আমরা এমপিদের পরিস্কার বলেছি আমরা বসে থাকার জন্য় যাচ্ছি না। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখব। মোদীকে কেউ চায় না। এত বড় হারের পরে মোদী বাবুর উচিত ছিল এটা ছেড়ে দেওয়া।”