প্রতিবেদন: রবিবার দিল্লিতে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি সহ এনডিএ মন্ত্রিসভার সদস্যরা। নতুন সরকারে কোন শরিক দল কটি মন্ত্রক পাবে তা নিয়ে জল্পনা তীব্র। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে পুরোপুরি শরিক দলগুলির উপর নির্ভর করেই সরকার চালাতে হবে। কেন্দ্রে নতুন সরকার আদৌ পুরো মেয়াদ টিকবে কি না তা নিয়ে সংশয়ী তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী ইন্ডিয়া শিবির। মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়।
আরও পড়ুন-পুণ্যভূমি দক্ষিণেশ্বর
বুধবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন তিনি। রাষ্ট্রপতি তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেন। নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে মোদি। দেশের ৫৪৩টি আসনের লোকসভায় এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। অন্যান্য দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ১৮টি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এবার বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। তাই সরকার গঠন করতে তাদের শরিক দলগুলির উপর নির্ভর করতে হবে। এদিকে রবিবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল, ভুটানের রাজা জিগমে নামগিয়াল ওয়াংচুক সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতার।