প্রতিবেদন : ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর নিজেদের মুখ বাঁচাতে এখন ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি-র নেতারা। রটাচ্ছেন, ওরা নাকি বিধানসভাভিত্তিক হিসাবে একশোর বেশি আসনে এগিয়ে। এটা পুরো ভুল। ডাহা মিথ্যা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিধানসভার হিসেবে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ১৬১টি কেন্দ্রে, বিজেপি ১২১ আসনে। এবার সেটা কমে ৯৯, মানে একশোর নিচে চলে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের লিড হয়েছে ১৯২টি বিধানসভা কেন্দ্রে। তা ছাড়া, বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, বিজেপির কিছু আসনে, যেখানে অনেক বেশি লিড আগে ছিল, সেগুলি কমে পাঁচ-ছ’হাজারেও নেমে এসেছে। বিধানসভাওয়াড়ি ভাগ করলে এটা কোনও লিডই নয়।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এর পাশাপাশি, বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ও তাদের পর্যবেক্ষকদের সৌজন্যে অনেক আসন জিতে নিয়েছে জোর করে। এর সব তথ্য আমাদের কাছে এসেছে, আরও আসছে। বিজেপি নিজেদের মুখরক্ষার জন্য মিথ্যা বলে যাচ্ছে, ওটা ওদের অভ্যেস। এই ভোটেও বিধানসভার হিসেবে আমরা এগিয়ে। আর ২০২৬-এর বিধানসভার ভোটে তৃণমূলের আসন এবং ভোট আরও অনেকটা বাড়বে। বিজেপি আরও কমে যাবে। দিল্লিতে তো নড়বড়ে সরকারের গড়বড়ে আচরণ দেখছেন মানুষ। ওই জোড়াতালির সরকার পুরো অনিশ্চয়তায় ভরা। আমরা নজর রাখছি সব ঘটনাপ্রবাহে। দেশের মানুষের অধিকার, বাংলার অধিকার ও সম্মান রক্ষা, বাংলার বকেয়া আদায়ের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেস অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং করবে। বিজেপি লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেয়েছে। বাংলাতেও ধরাশায়ী। ভোটের আগেও ওরা সমানে মিথ্যাচার, কুৎসা, ভিত্তিহীন প্রচার করেছে। এখনও দিল্লিতে কোনওরকমে জোড়াতালির নড়বড়ে সরকার তৈরির চেষ্টার পাশাপাশি হার থেকে মুখ বাঁচাতে সমানে মিথ্যাচার ও নানারকম নাটক করে যাচ্ছে।