প্রতিবেদন: তীব্র সমালোচনা এবং বিদ্রোহের মুখে অসমের গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর ঔদ্ধত্যের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন বিজেপিরই দাপুটে বিধায়ক মৃণাল সইকিয়া। জোড়হাট লোকসভা আসনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়কে কেন্দ্র করেই বিজেপি বিধায়ক এবং দলের কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক ক্ষোভ দানা বেঁধেছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। আড়ালে-আবডালে নয়, প্রকাশ্যেই তাঁরা উগরে দিচ্ছে সেই ক্ষোভ। রীতিমতো লড়াই বেঁধেছে বিজেপির পুরানো এবং নয়া শিবিরের মধ্যে। বাকযুদ্ধে শোনা যাচ্ছে, শুধুমাত্র প্রচার এবং টাকা ছড়িয়ে জেতা যায় না নির্বাচনে। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা নির্বাচন কাটতে না কাটতেই গভীর অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির এবং অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত নিজে।
আরও পড়ুন-মুসলিম সংরক্ষণে অনড় চন্দ্রবাবু সমর্থন হারানোর ভয়ে টুঁ শব্দ নেই মোদির
জোড়হাট লোকসভা আসনের লড়াইকে এবারে রীতিমতো প্রেস্টিজ ফাইটের রূপ দিয়েছিলেন হিমন্ত। নিজের আগ্রহেই এই কেন্দ্রে প্রচারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জলে গিয়েছে তাঁর সবচেষ্টাই। গেরুয়া প্রার্থীকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ভোটে হারিয়ে আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। পদ্মশিবিরে যা বিনামেঘে বজ্রপাত। এরপরেই হিমন্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগুন জ্বলেছে বিজেপিতে। এই অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের জন্য দায়ী করা হয়েছে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেই। বিজেপি বিধায়ক মৃণাল সইকিয়া সরাসরি অভিযোগ করেছেন, জোড়হাটে দলের নেতাদের প্রচারে বক্তব্য,প্রচার কৌশল এবং সবচেয়ে বড় কথা ঔদ্ধত্যই ডেকে এনেছে এই শোচনীয় পরাজয়। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, জোড়হাটে জয়ী কংগ্রেসপ্রার্থীকে রীতিমতো অভিনন্দন জানিয়েছেন খুমটাই কেন্দ্রের দুবারের বিজেপি বিধায়ক মৃণাল। এই মৃণাল সইকিয়া একসময়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আলফার গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। সোশাল মিডিয়াতেও তিনি বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।