প্রতিবেদন : জেলায় ১০ লক্ষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা মহিলারাই এবার তৃণমূলের বড় ভোটব্যাঙ্ক হয়ে ওঠায় দলের প্রার্থীর জয়ের মার্জিন বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। নির্বাচনী পর্যালোচনায় এটাই উঠে এসেছে বীরভূমের ক্ষেত্রে। জেলার বোলপুরে আর বীরভূম দুই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীরা যে ভোট পেয়েছেন, তার ৬০ শতাংশেরও বেশি মহিলা। এছাড়াও কন্যাশ্রী প্রাপকদের বিশাল সংখ্যার ভোটও তাঁদের চিহ্নে। মুখ্যমন্ত্রীর নারীশক্তি প্রক্রিয়াকে জেলার মহিলারা দু’হাত তুলে সমর্থন করেছেন, তার প্রমাণ মিলেছে এবারের ভোটে। জেলার মোট ২৮ লক্ষ ৮৮ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রায় ১৪ লক্ষ ৩৩ হাজার মহিলা।
আরও পড়ুন-জয়ের জন্য দলের বৈঠকে নেত্রীর, সাবাসি দুই প্রার্থী রচনা ও মহুয়াকে
এর মধ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পান। রয়েছেন কন্যাশ্রীর সুবিধাপ্রাপ্তরাও। ভোটের দিন তাঁদের লম্বা লাইন দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, এর আগে মহিলাদের দল বেঁধে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা যায়নি। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছে, এটা আসলে ‘লক্ষীর ভাণ্ডারের লাইন’। ভোটের ফল বেরোতেই প্রমাণ, সেই আন্দাজ ভুল ছিল না। জেলার দুই আসনেই গতবারের থেকেও তৃণমূলের দুই প্রার্থীর ভোটমার্জিন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। বীরভূমের প্রার্থী শতাব্দী রায় গতবারের থেকে দ্বিগুণ মার্জিনের বেশি ভোটে জিতেছেন। গতবার ৫ লক্ষ ২০ হাজার ভোটের জায়গায় এবার তিনি পেয়েছেন ৭ লক্ষ ১৭ হাজার ভোট। একইভাবে বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালও এবার দ্বিগুণের বেশি সাড়ে ৮ লক্ষ ভোট পেয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এই ভোটের ৬০ শতাংশের বেশি মহিলা ভোট। বুথের হিসাব কষে কেউ কেউ বলছেন, বিজেপি সমর্থকদের বাড়ির মহিলাদের ভোটও পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন-নেই বৃষ্টি, বড়সড় ক্ষতির মুখে বারুইপুরে লিচুর ফলন
এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটের হিসাব কষে দেখা যাচ্ছে, গ্রামের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোট তৃণমূলে এসেছে। মহিলা ভোট বেশি পাওয়ার পিছনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথাই সকলে একবাক্যে উল্লেখ করছেন। জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, আমাদের দুই আসনে যখন ভোট হয়, তখন বাড়ির মহিলারা দু’মাসের বর্ধিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের ভোট আমাদের দিকে আসবে জানাই ছিল।