প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এবার আসনসংখ্যা বাড়িয়ে ২৯টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। তৃণমূলের টিকিটে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন ১২ জন। প্রথমবার সংসদে পা রাখার আগে তাঁরা যেমন রোমাঞ্চিত, তেমনই উৎসাহী। নিজের এলাকার জন্য উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা পা রাখছেন নতুন ক্ষেত্রে। প্রথমবার সাংসদ হয়েই তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেই বিজেপি বিরুদ্ধে এককাট্টা। তাঁদের সাফ কথা, বিজেপি কথা রাখেনি। আমরা কথা রাখব। মানুষ আমাদের নির্বাচিত করেছেন। তাঁদের জন্য উন্নয়নই আমাদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হবে। এলাকার সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হব আমরা।
পার্থ ভৌমিক : রাজ্যে আমাদের সরকার। ফলে রাজ্যের পরিস্থিতি একরকম, সংসদের পরিস্থিতি অন্য৷ সেখানেও অনেক কিছু শেখার আছে। সংসদের আদব-কায়দা, রীতি-নিয়ম জানতে হবে। সেখানে নিজের এলাকার উন্নয়নের দাবির পাশাপাশি রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তুলে ধরব। গঙ্গাভাঙন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করব। গঙ্গার পাড়ের সৌন্দর্যায়ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। সেই ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব। জুট মিলগুলির পুনর্জীবন ঘটানোই লক্ষ্য।
সায়নী ঘোষ : মানুষ জিতিয়েছে। তাদের জন্য কাজ করতে চাই। একমাসের মধ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করব। যেখানে মানুষ সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। সমস্যা জানাতে পারবেন। মানুষের পাশে দাঁড়াব মানুষকে সঙ্গে নিয়েই চলব। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মানুষের কাজ করব। মাঝে মাঝে নয়, সবসময়ই আসব।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় : মানুষের অভিযোগ ছিল তাঁরা সাংসদকে পান না। মানুষের এই অভিযোগ আর থাকবে না। হুগলি লোকসভার উন্নয়নের জন্য তিনি সব কাজ করবেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মেনে অগ্রাধিকার দেব মানুষের কাজে।
মিতালি বাগ : এই জয় মানুষের জয়। বিজেপি মানুষকে ভাতে মারতে চেয়েছিল, তাই মানুষ তাদের প্রত্যাখান করেছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের কথা তুলে ধরব। আরামবাগের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। মানুষ যাতে ভাবে তাদের পাশে তাদের সাংসদ নয় তাদের বাড়ির মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন-কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমটেক কোর্সের সময়সীমা কমছে
বাপি হালদার : প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার ছেলে। সংসদ ভবনে গিয়ে প্রান্তিক মানুষের জন্য দাবি আদায় করে নেওয়াই মূল লক্ষ্য। সুন্দরবন এলাকার মানুষের কথা সংসদ ভবনে তুলে ধরব। সুন্দরবনের মানুষের দুর্দশা ঘোচানোই আমার প্রথম টার্গেট।
জগদীশ বসুনিয়া : আমাকে মানুষ কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। বিজেপি এর আগে লোকসভায় জিতে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল। কথা দিয়ে কথা রাখেনি। কোচবিহারে শান্তির পরিবেশ ফেরানোই হবে আমার মূল লক্ষ্য। কোচবিহারের মানুষ যা উন্নয়ন চাইবে, তাই হবে। সীমান্তের মানুষের কথা তুলে ধরব দেশের সংসদে।
অরূপ চক্রবর্তী : সাংসদ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে দিল্লিতে যাচ্ছি। বাঁকুড়াবাসীর উন্নয়নই প্রথম লক্ষ্য। কেন্দ্রের জুমলাবাজ সরকারের কাছ বকেয়া আদায় করে আনতে হবে। বিজেপির অনেক অন্যায় চোখের সামনে দেখেছি, এবার কিছু করে দেখানোর সময় এসেছে।
কালীপদ সরেন : সংসদ সম্পূর্ণ নতুন জায়গা, অ্যাডজাস্ট করে নিতে হবে। সংসদে ঝাড়গ্রামের মানুষের কথা তুলে ধরব। দিদির প্রিয় জেলা এই ঝাড়গ্রাম। জেলার স্কুল-কলেজ ও পর্যটন ব্যবস্থার আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। আগামী দিনে সেই কাজই টার্গেট।