প্রতিবেদন : রাজ্যে কেউ বার্ড-ফ্লুতে আক্রান্ত হয়নি। তাই এই নিয়ে কোনওরকম উদ্বেগ ছড়ানোর বা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং প্রাণিসম্পদ দফতরের অতিরিক্ত সচিব। মালদার কালিয়াচকের এক ৪ বছর বয়সি শিশুর শরীরে এইচ৯এন২ ভাইরাস মিলেছিল। এই নিয়ে আতঙ্কও ছড়িয়েছিল। তবে এই আতঙ্ক যে একেবারেই অমূলক তা এদিন জানিয়ে নিশ্চিত করলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তারা।
আরও পড়ুন-অণ্ডাল বাগডোগরা জুড়ছে উড়ানে
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, রাজ্যে কেউ বার্ড-ফ্লুতে আক্রান্ত হয়নি। মুরগির ডিম, মুরগির মাংস কিংবা হাঁসের মাংস খাওয়ায় কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা নেই। উদ্বেগ ছড়ানোর বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। মালদার ওই শিশুর থেকে কারও কাছে রোগ ছড়ায়নি। কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে, কোনওরকম উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। সেই কারণে বিশেষভাবে কোনওরকম সতর্কতা জারি করা হচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে। স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা এদিন জানান, ওই শিশুর শরীরে কীভাবে এই ভাইরাস মিলল তা প্রমাণসাপেক্ষ। শিশুটি কলকাতা থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন গিয়েছিল। সেখানেই তার দেহে ভাইরাস মেলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ মার্চ কলকাতা থেকে সেই শিশুটি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গিয়েছিল। ২ মার্চ সে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল এবং ২২ মে তাকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে এই ধরনের কোনওরকম ভাইরাসের হদিশ মেলেনি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী জানিয়েছেন, কালিয়াচকের ৪ বছর বয়সি শিশুর শরীর থেকে যে এইচ৯এন২ ভাইরাস মিলেছে তা বার্ড-ফ্লুর ভাইরাস নয়। এইচ৫এন১ হল বার্ড ফ্লু-র ভাইরাস।