প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচন মিটতেই রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। শুক্রবার এই চার কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে মুকুটমণি অধিকারী। মানিকতলা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে এবং বাগদা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মধুপর্ণা ঠাকুর। তিনি সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে রাজ্য বিধানসভায় টিকিট পেলেন। তৃণমূল মধুপর্ণাকে প্রার্থী করে চমক দিল উপনির্বাচনে। মধুপর্ণার বয়স ২৫ বছর ১৪ দিন।
আরও পড়ুন-ডায়মন্ড হারবারে বিপুল জয়, শুভেচ্ছা বিনিময়ে অভিষেক
রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, মানিকতলা ও বাগদা— চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন ১০ জুলাই। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেস চার কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে জানায়, আমরা পূর্ণ আস্থা রাখছি চার প্রার্থীর উপর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে সবদিক বিবেচনা করে দল প্রার্থী ঘোষণা করেছে। চার প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবে, এই আশা রাখছে দল। তৃণমূল এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমণি অধিকারীকে। এবার উপনির্বাচনে দু’জনকেই টিকিট দিল তৃণমূল। তবে বাগদা কেন্দ্রে বিশ্বজিৎ দাসকে টিকিট না দিয়ে বিধানসভা উপনির্বাচনে ঠাকুরবাড়ির সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করা হল সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে। অন্যদিকে, মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে প্রার্থী হলেন সাধনজায়া।
আরও পড়ুন-মিষ্টি হাতে বিজেপি কর্মীদের কাছে বোস! কটাক্ষ তৃণমূলের
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, লোকসভায় বিপুলভাবে সমর্থন পেয়েছে তৃণমূল। সাময়িক বিভ্রান্তিতে কিছু মানুষ অন্য দলকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু লোকসভা ও বিধানসভার প্রেক্ষিত আলাদা। এই উপনির্বাচন সরকার সম্পর্কে নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভোট নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকার আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরকারই থাকবে বাংলায়। এই কেন্দ্রগুলির বিধায়ক নির্বাচন করলে রাজ্য সরকার সঙ্গতি রেখে উন্নয়ন করতে পারবে। সরকার পক্ষের বিধায়ক থাকলে ওই এলাকায় উন্নয়ন জোরদার করতে ভোট দেবেন মানুষ। তিনি আরও বলেন, আমরা চারে চার করতে আত্মবিশ্বাসী। বিজেপি বিনোদনমূলক ক্লাবে পরিণত হয়েছে। লোকসভার আগে বড় বড় কথা বলেছিল। লোকসভায় তারা বিপর্যস্ত। দিল্লিতেও কমেছে, বাংলাতেও ভরাডুবি। এবার কার্যত সব মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে জিততে চলেছে তৃণমূল। বিধানসভায় আরও বেশি স্যুইং হবে তৃণমূলের পক্ষে। তাঁর কথায়, তৃণমূল সবসময় নারীশক্তিকে অগ্রাধিকার ও গুরুত্ব দিয়ে চলে। মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অধিকারকে গুরুত্ব দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ৩৮ শতাংশ মহিলা সাংসদ জয়ী হয়েছে এবার। সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বে মহিলাদের অংশগ্রহণে কাজের সুযোগ দেয় তৃণমূলই। সেইমতো এবার চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ৫০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীর অংশগ্রহণ।