প্রতিবেদন: অবশেষে আশার বাণী শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শেষ হচ্ছে তাপপ্রবাহের স্পেল। আগামী সপ্তাহতেই দক্ষিণের জেলায় প্রবেশ করছে বর্ষা। শনিবার থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে জেলায় জেলায়। এই বৃষ্টিকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি বলছেন আবহাওয়াবিদরা। পরিস্থিতি অনুকূল হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন থেকে সাত দিনের মধ্যে ঢুকবে বর্ষা। ১৮ থেকে ২০ জুনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
আরও পড়ুন-পর্যটকদের উদ্ধারে সেনা তলব সিকিমে
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ওড়িশা, অন্ধ্র উপকূল, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ এবং বিহারের কিছু অংশে অগ্রসর হতে পারে। ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বাকি জায়গায় বর্ষা ঢোকার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। স্বস্তির বাণী শুনিয়ে মৌসম ভবন বলছে, দক্ষিণের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ বন্ধ হবে এবং চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে। এর ফলে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমবে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ারও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল। আর্দ্রতার কারণে ঘামে ভিজেছিল শরীর।
আরও পড়ুন-রাজ্যের কারিগরদের তৈরি হস্তশিল্প এবার মিলবে দুবাইয়ে
টানা বৃষ্টিতে ধস নেমেছে পাহাড়ে। সিকিমে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা। শনিবারেও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে ভারি থেকে অতি-ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আরও পাঁচ দিন প্রবল বৃষ্টি ও দুর্যোগ চলবে। এই জেলাগুলিতে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে ৭-২০ সিএম। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। দার্জিলিং কোচবিহারের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। উত্তরের কয়েক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।