প্রতিবেদন : বছরের প্রায় প্রতিটা দিনই দিঘায় পর্যটকদের জমজমাট ভিড় থাকে। দূরদূরান্তের হাজার হাজার মানুষ দিঘার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমান। কলকাতা থেকে কাছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় এত পর্যটকের লেগে থাকে এই সমুদ্র-শহরে। দিঘায় সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি বাড়তি আকর্ষণ হিসাবে তৈরি হয়েছে পার্ক, মিউজিয়াম, কফিহাউস-সহ আরও অনেক কিছুই। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে শুরু হতে চলেছে সমুদ্রবক্ষে প্রমোদসফর।
আরও পড়ুন-সিকিমে এখনও আটকে হাজার পর্যটক, উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন
গোয়ার মতো এবার দিঘাতেও সমুদ্রবক্ষে ক্রুজে এই প্রমোদসফর পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কয়েক মাস আগে ২০২৩-এর সালের ডিসেম্বরেই এই পরিষেবা চালুর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঢেলে সাজে এম ভি নিবেদিতা প্রমোদতরীটি। কিন্তু পল্টুন জেটি ও গ্যাংওয়ে নড়বড়ে হয়ে পড়ায় স্থগিত হয়ে যায় প্রমোদতরীতে সমুদ্রে প্রমোদসফর। সেই বাধা দূর হওয়ায় আগামী বর্ষায় দিঘা গিয়েই গোয়ার স্বাদ পেতে চলেছেন পর্যটকেরা। সমুদ্রবক্ষে প্রমোদসফর চালু করার জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ করেছে প্রশাসন। এবার প্রমোদতরীর ফিটনেস সার্টিফিকেট হাতে এলেই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। ফলে আগামী জুলাইয়েই পর্যটকদের নিয়ে দিঘার সমুদ্রে প্রমোদতরীর সফর শুরু হয়ে যাবে বলে আশা। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এই প্রমোদতরীতে বসেই সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত-সহ সমুদ্রের অ্যাডভেঞ্চার আর বিনোদন উপভোগ করা যাবে। গানবাজনা-সহ নানাবিধ ব্যবস্থা থাকছে প্রমোদতরীতে। আছে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডেক। যাত্রী-আসন আছে ৮০টি। প্রতিটি ডেকেই মিলবে নীল জলরাশি ও খোলা আকাশ উপভোগের ব্যবস্থা। মোহনায় ম্যানগ্রোভ এবং পাখিদের কলকাকলির সঙ্গে ঢেউয়ের শব্দ নৈসর্গিক দৃশ্যপট গড়ে দেবে পর্যটকদের মনে। তবে এর জন্য কত টাকা খরচ করতে হবে পর্যটকদের সে-বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। কিন্তু সমুদ্রবক্ষে এই প্রমোদভ্রমণ অচিরেই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে সেটা বলাই যায়।