প্রতিবেদন: মোদির (Modi) নতুন সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সুরে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। দলের নবনির্বাচিত সাংসদদের বৈঠকে তৃণমূল-সুপ্রিমো দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, আগামী দিনে সরকার গড়বে ইন্ডিয়াই। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন আমরা শুধু পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছি। সেই কথার সূত্র ধরেই এবারে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে মন্তব্য করেছেন, লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করার পক্ষে রায় দেননি ভোটাররা।
আরও পড়ুন-জয়েন্টের দায়িত্ব রাজ্যকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, দাবি শিক্ষামন্ত্রীর
ভুল করে গঠিত হয়েছে এনডিএ সরকার। এটা জনাদেশের সরকার নয়, আসলে সংখ্যালঘু সরকার। যেকোনও সময় পতন হতে পারে এই সরকারের। শনিবারই মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে জননেত্রীর সুরেই এনডিএ-র নয়া সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ইন্ডিয়া জোটের ৩ নেতা শারদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে এবং পৃথ্বীরাজ চহ্বনও। শারদ পাওয়ার রীতিমতো বিদ্রুপ ছুঁড়ে দিয়েছেন মোদির প্রতি। মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোটের সাফল্যের জন্য মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। কেন? শারদের কথায়, মহারাষ্ট্রের যেখানেই জনসভা বা রোড-শো করেছেন মোদি, সেখানেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে মহাবিকাশ অগধি। বিপর্যয় ঘটেছে বিজেপির। উদ্ধবের কথায়, মোদির প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণার কারণেই ওইসব জায়গায় তাঁদের প্রার্থীর জয় অনেক সহজ হয়েছে। শিবসেনা এবং এনসিপি ভাঙিয়ে বিজেপি যে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল, মুখের উপর তার জবাব দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মানুষ। শারদ পাওয়ার এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অজিত পাওয়ারকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।