উপনির্বাচন ৪ কেন্দ্রেই প্রবল উৎসাহে প্রচার শুরু

কোথাও সাংগঠনিক বৈঠক, কোথাও মিছিল, কোথাও পথসভায় দলের নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত উপনির্বাচনের প্রচার-প্রস্তুতি নিয়ে।

Must read

প্রতিবেদন : চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রবল রোদ ও গরম উপেক্ষা করে প্রথম দিনেই জমজমাট প্রচার সারলেন দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা। রায়গঞ্জ, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও মানিকতলা বিধানসভায় রবিবার সকাল থেকেই প্রচারে ঝাঁপাল তৃণমূল। কোথাও সাংগঠনিক বৈঠক, কোথাও মিছিল, কোথাও পথসভায় দলের নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত উপনির্বাচনের প্রচার-প্রস্তুতি নিয়ে।

আরও পড়ুন-শঙ্কা বাড়াচ্ছে স্ট্রেপটোকোকাল টক্সিক শক সিনড্রোম

রায়গঞ্জে সাংগঠনিক বৈঠক করেন প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। রানাঘাট দক্ষিণের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী জেলা সভাপতি শঙ্কর সিং ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন প্রচারের রোডম্যাপ তৈরি করতে। বাগদাতেও একই ছবি। প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত করাতে সাংগঠনিকভাবে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে ছিলেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক, প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার সকাল থেকেই মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডে প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডের হয়ে প্রচারে নামেন দলের নেতা-কর্মীরা। প্রতিটি ওয়ার্ডের মিছিলে ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের পুরপিতা-সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের কর্মীরা। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেন। মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেন। তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডের হয়ে মানুষের কাছে আশীর্বাদ চান তিনি। লোকসভা নির্বাচন সদ্য মিটলেও বিধানসভার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। উপনির্বাচন হলেও তাতে ঢিলেমি দিতে নারাজ দল।

আরও পড়ুন-অস্ত্রোপচার, বাড়িতে অভিষেক

শনিবার তৃণমূল ভবনে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে গিয়েছেন তিন প্রার্থী। তারপরই জোরকদমে রবিবারের প্রচার-প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ছুটির দিনটিকে নষ্ট করতে চাননি তৃণমূল প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা। যদিও শনিবার রাতেই কলকাতার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা ভোলা চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে একদফা প্রচার সেরে নেন সুপ্তি পাণ্ডে। চার কেন্দ্রেই দলের নেতা-কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ও উচ্ছ্বাস দেখে এটুকু নিশ্চিত যে, এবারে এই চার কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হতে চলেছেন। প্রচারের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, সাধন পাণ্ডে এত বছর এখানে অজস্র কাজ করেছেন। সুপ্তি পাণ্ডে আমাদের প্রার্থী। এই উপনির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করার নির্বাচন। বিজেপি তাদের ঝগড়াঝাটি ও কোন্দলে ব্যস্ত। মানিকতলা বিধানসভার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডেকেই আশীর্বাদ করবেন।

Latest article