প্রতিবেদন : গাল-ভরা প্রতিশ্রুতিই সার। আদতে রেলের নিরাপত্তাব্যবস্থা যে একেবারে তলানিতে সেই বিষয়টি আজ আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Kanchanjunga Express Accident)। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা শঙ্করমোহন দাস। তিনি রেলেই কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনার পরে বারবার প্রশ্ন উঠছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে। এদিনের দুর্ঘটনায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে পার্সেল ভ্যানের বগিটিতে। সেখানেই কর্মরত অবস্থায় ছিলেন আরএমএস কর্মী শঙ্করমোহন দাস (৬২)। পরিবার সূত্রে খবর, এদিন সকাল সাড়ে আটটার সময় পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা বলেন তিনি। জানান নির্বিঘ্নেই বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু এরপরেই সমস্ত কিছু ছারখার হয়ে যায়। ঘুণাক্ষরেও শঙ্করবাবু টের পাননি সেটাই তাঁর পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা। এরপর ট্রেনের প্রবল ঝাঁকুনিতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছে যায় তাঁর পরিবার। কিন্তু হেল্প ডেস্ক থেকে কোনওরকম সাহায্য পাননি তাঁরা। স্পষ্ট করে কিছুই জানাতে পারছিলেন না রেলের আধিকারিকরা। এই অবস্থায় উদভ্রান্তের মতো এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন শঙ্করবাবুর স্বজনেরা। মনে মনে তখন একটাই প্রার্থনা চলছিল যেন কোনওভাবে একটু খোঁজ পাওয়া যায় তাঁর। এরপর ১০-২৫ নাগাদ ফের শিয়ালদহ স্টেশনের অনুসন্ধান বিভাগে যখন তাঁরা খোঁজ নিতে যান তখন জানতে পারেন শঙ্করমোহন দাসের মৃত্যু হয়েছে রেল দুর্ঘটনায়।
জানা গিয়েছে, যখন মালগাড়িটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchanjunga Express Accident) ধাক্কা মারে তখন গুরুতর আহত হয়ে পড়েন শঙ্করমোহন দাস। এরপর তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই বাড়ির লোক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দিকে রওনা দিয়েছেন দেহ আনার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন- জরুরি অবস্থার জন্য এনবিএসটিসির ১৫ বাস, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাঙাপানির ঘটনাস্থলে প্রশাসনের কর্তারা