প্রতিবেদন : পূর্ব ঘোষণামতো মঙ্গলবার কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে সকালেই পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মা-মাটি-মানুষের কল্যাণেই তাঁর এই পুজো। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরে কোচবিহার আসনটি তৃণমূল জয়লাভ করেছে। যে কারণে সোমবারই কোচবিহারবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন নেত্রী। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মদনমোহন মন্দিরে গিয়ে তিনি পুজো দেন। অবশেষে তিনি সোজা চলে যান কোচবিহারের চকচকা গ্রামে অনন্ত মহারাজের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। কোচবিহার লোকসভা আসনটি জেতার পর কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে এদিন মা-মাটি- মানুষের কল্যাণে পুজো দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা-সহ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, নবনির্বাচিত তৃণমূলের সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া, কোচবিহার পুরসভার পুরপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়-সহ দলের সকলকে নিয়ে মন্দিরে পুজো দেন। তার আগে জেলা নেতাদের নিয়ে সার্কিট হাউসে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানে দলের সকলকে একসঙ্গে উন্নয়নের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন নেত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, আরও বেশি করে মানুষের পাশে থাকতে হবে। ২০২৬-এর বিধানসভায় তৃণমূলের ফল আরও ভাল হবে। সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন কোচবিহারে। রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করতে এসে ঝটিকা সফরে কোচবিহারে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে সকলের জন্য শুভ কামনা করেছি, যাতে সবাই শান্তিতে থাকে, ভাল থাকে। সকলের মঙ্গল কামনায় পুজো দিলাম। কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে আমি প্রায়ই আসি। সময় থাকলে শিবযজ্ঞ মন্দিরেও যেতে পারতাম। আমার গোত্র একটাই, মা-মাটি-মানুষ গোত্র। যেহেতু কোচবিহারের মানুষ দুই হাত তুলে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন তাই আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্যই আমার কোচবিহারে ছুটে আসা। মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, মদনমোহন মন্দিরের গেস্ট হাউস উন্নয়নের কাজ ভাল ভাবে করা হচ্ছে। হেরিটেজ টাউন-এর কাজও নতুন ভাবে শুরু হবে। নির্বাচনের জন্য মাস তিনেক কাজ বন্ধ ছিল। নবদ্বীপ ও কোচবিহারে সেরা হেরিটেজ টাউন হচ্ছে। এই সাতসকালেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক ঝলক দেখার জন্য উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। মদনমোহন মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি সোজা চলে যান অনন্ত মহারাজের বাড়িতে। একান্তে আধ ঘণ্টারও বেশি তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বৈঠক শেষে এ-বিষয়ে কোনও কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। অনন্ত মহারাজ জানান, সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হয়েছে। এই প্রথমবার কোনও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে এসেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রিন টি খাইয়েছেন। কোচবিহারের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনন্ত মহারাজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাদিমারার উদ্দেশে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-শিয়ালদহে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, রেলের সুরক্ষা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ফিরহাদের