প্রতিবেদন : দিঘায় পর্যটকদের জন্য নয়া আকর্ষণ রেলস্টেশনের কাছেই ২৫ একর জমির উপর পুরীর আদলে নির্মীয়মাণ জগন্নাথধাম ও সংস্কৃতিকেন্দ্র। মন্দির গড়ার কাজ শেষ পর্যায়ে পৌঁছে এখন চলছে ফিনিশিং টাচ। মন্দিরের জন্য ২০০ কোটির বেশি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। ২০২২ সালের অক্ষয় তৃতীয়ায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। এবার মন্দিরের পুবদিকে দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করে বাইপাস তৈরি শুরু হবে ২০ জুন থেকে। সেখানে উন্নয়ন পরিষদের জমিতে থাকা ৯০টি দোকানের মালিকদের জলদি জায়গা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। উন্নয়ন সংস্থার তরফে এ বিষয়ে মাইকিং করা হয়।
আরও পড়ুন-যোগী রাজ্যের পুলিশের দাদাগিরি থামাল বাংলা
১৯ জুন মাপজোকের সময় তাঁদের হাজির থাকতে বলা হয়েছে। রামনগর ১ ব্লক প্রশাসন দোকানিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেছে। ক’দিন আগেই মন্দিরের কাজ পরিদর্শনে আসেন হিডকোর ভাইস-চেয়ারম্যান হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সিইও কাঁথির এসডিও সৌভিক ভট্টাচার্য প্রমুখ প্রশাসনিক কর্তারা। এর পর তাঁরা একটি বৈঠকও করেন। তবে আসন্ন রথযাত্রার দিন মন্দিরটি উদ্বোধন হবে কি না তা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে জল্পনা বাড়লেও প্রশাসনিক কর্তারা সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি। জেলাশাসক বলেন, মন্দির নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণে রথ তৈরির কাজ দ্রুত চলছে। তিনটি লোহার রথের বড় কাঠামোও সেজে উঠছে ঠিকই। তবে উদ্বোধন নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে মহিষাদলে প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ শেষের পথে। বিগ্রহ চলে এসেছে। ভোটপর্ব মিটলেই উদ্বোধন হবে। সেইমতো সবাই চান ৭ জুলাই রথযাত্রার দিনই উদ্বোধন হোক এই মন্দিরের। পুরীর মন্দিরের প্রায় সমান উচ্চতায় মন্দিরটি গড়ে উঠলেও পুরীর মতো দারুমূর্তি নয়, এখানকার মূর্তি পাথরের। তবে যেদিনই উদ্বোধন হোক, নতুন মন্দির থেকে রথে চপে পুরনো দিঘার আগের জগন্নাথ মন্দিরে মাসির বাড়ি যাবেন তিন দেবতা। তার আগেই এবার রাস্তা সম্প্রসারণে জোর দিয়েছে প্রশাসন।