প্রতিবেদন: পুলিশের ভুল ভাঙল একরত্তি শিশুর কথায়। পুলিশ যে মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ইতি টানতে চেয়েছিল, দেখা গেল তা আসলে নৃশংস খুন। ৪ বছরের শিশুকন্যা নিজের খাতায় ছবি এঁকে যা বুঝিয়ে দিল, তার অর্থ দাঁড়াল, নির্মম অত্যাচার চালিয়ে তার মাকে মেরে ফেলেছে বাবা। একইসঙ্গে সে কচি হাতে লিখেও বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে, মাকে খুন করেছে বাবাই। যোগীরাজ্যের ঝাঁসির ঘটনা। সোমবার সকালে সেখানকার কোতোয়ালি এলাকায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় সোনালি বুধোলিয়া নামে ২৭ বছরের এক গৃহবধূর।শ্বশুরবাড়ির লোকজন বধূর বাবা-মাকে ফোন করে জানান, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁদের মেয়ে।
আরও পড়ুন-দুর্ঘটনার নেপথ্যে ভুল ঘোষণা, রেলের মিথ্যাচার প্রমাণিত আরপিএফ রিপোর্টে
আচমকাই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্তের পরে আত্মহত্যার তত্ত্বেই বিশ্বাস করে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত চালায় আত্মহত্যার সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই। কিন্তু ভুল ভাঙিয়ে দেয় দম্পতির ৪ বছরের মেয়েই। সে পুলিশকে জানায়, কীভাবে দিনের পর দিন ধরে তার মায়ের উপরে নির্যাতন চালাত বাবা। এবং মাথায় পাথর দিয়ে মেরে মাকে খুন করেছে তার বাবাই। খাতায় ছবি এঁকেও সে বুঝিয়ে দেয় কেমন করে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। এর পরেই সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নেয় তদন্ত। মেয়েকে খুনের অভিযোগ এনেছেন বাপের বাড়ির লোকেরাও। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এখনও এ ব্যাপারে কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের ভূমিকাটাও সংশয়ের ঊর্ধ্বে নয়।
কিন্তু কেন এই অত্যাচার গৃহবধূর উপরে? কেনই বা এই খুন? মৃতের বাবার কথায়, পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ সন্দীপ বুধোলিয়ার সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছিল ২০১৯ সালে। বিয়ের দিন পণ হিসাবে বরপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিলাম ২০ লক্ষ টাকা। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নয় জামাই। দাবি করে গাড়ি কেনার জন্য দিতে হবে আরও ১০ লক্ষ টাকা। আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম আমার অক্ষমতার কথা। কিন্তু তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের উপরে চলত অমানবিক নির্যাতন। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।