প্রতিবেদন : পাট চাষিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়া নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিচ্ছে। একইসঙ্গে পাট ক্রয়কেন্দ্র এবং গুদামের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। চাষিরা যাতে বিনা ঝঞ্ঝাটে সেইসব কেন্দ্রে এসে পাট বিক্রি করতে পারে, তার জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাট নিগমকে সহায়ক মূল্যে পাট কেনার কাজেও সবরকম সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-শহরের রাজপথে এবার ছুটবে মুখ্যমন্ত্রীর ডিজাইন করা ট্রাম
বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জেসিআই, রাজ্য শ্রম দফতর এবং অন্য সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানে আলোচনায় বেশ কিছু ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্যে পাট ক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা কম থাকায় কিছু অসাধু মধ্যস্বত্বভোগী তার সুযোগ নিচ্ছে। চাষিদের মধ্যে এ-ব্যাপারে সচেতনতারও অভাব রয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করতে রাজ্য জুড়ে বিশেষ অভিযান চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-পদ আমাকে ছাড়ছে না : গেহলট
উল্লেখ্য, এ-বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু কারবারি চাষিদের কাছ থেকে ন্যূনতম মূল্যের অন্তত এক হাজার টাকা কমে পাট কিনে বাড়তি মুনাফা লুটতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরে কুইন্টাল-পিছু পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ধার্য করেছে ৫০৫০ টাকা। পরিবহণ ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে কলকাতায় পাটের বড় কারবারিদের কাছ থেকে চটকলগুলি কুইন্টাল-প্রতি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে পাট কিনবে বলেও ঠিক হয়েছে। কিন্তু ফড়েদের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। যা নিয়ে রাজ্যে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দেন রাজ্যের জুট কমিশনার মলয় চন্দন চক্রবর্তী। তারপরেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।