প্রতিবেদন : ছাব্বিশে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে এসআইআরের নামে যেভাবে প্রকৃত ভোটারদের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে সরব হল দেশবাঁচাও গণমঞ্চ (Desh Bachao gano mancha)। বুধবার, কলকাতায় ইলেকশন কমিশনের সিইও দফতরের সামনে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল গণমঞ্চ (Desh Bachao gano mancha)। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, সমাজকর্মী সুশান রায়, চিত্র পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, সমাজকর্মী বাসুদেব ঘটক, সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, সুমন ভট্টাচার্য, গায়ক সৈকত মিত্র, নাজমুল হক, অমিত কালী, অভিনেতা রাহুল চক্রবর্তী, ভিভান ঘোষ, সোমা চক্রবর্তী, অধ্যাপক কুন্তল ঘোষ, দীপঙ্কর দে, জাতীয় বাংলা সম্মেলনের সভাপতি সিদ্ধব্রত দাসের মতো বিশিষ্টরা। সভায় বক্তারা স্পষ্ট বলেন, বাংলার একজন বৈধ ভোটারকে কোনও ভাবে বাদ দেওয়া চলবে না। তাঁদের হেনস্থাও করা যাবে না। ২৪-এর লোকসভা ভোটে যেসব মানুষের ভোটে কেন্দ্রে সরকার গঠিত হয়েছে, সেই ভোটার তালিকাকেই বহাল রাখতে হবে বিধানসভা নির্বাচনেও। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে ভিনরাজ্যের যেসব নাগরিকের নাম পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে, সেসব নাম বাদ দিতে হবে। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তোলেন, কেন ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারাই শুধু ভোট দিতে পারবে? তার পরবর্তী ভোটার তালিকায় থাকা ভোটারদের নাম কোন নথির ভিত্তিতে বাদ গেল তার জবাব কমিশনকে দিতে হবে। যদি কোনও ব্যক্তিকে অবৈধ ভোটার হিসেবে গণ্য করা হয়, তাহলে তাদের সন্তানদের কি এই দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে না? তাঁরা অভিযোগ করেন, বিহারের এমন বহু নাগরিকের শুধুমাত্র বাড়িতে না থাকার কারণে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।