প্রতিবেদন : একটার পর একটা নির্বাচনে হেরে প্রতিহিংসার ভয়ঙ্কর আক্রোশ নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। শুধু রাজ্যস্তরে নয়, চক্রান্ত চলছে একেবারে কেন্দ্রীয়স্তরে। প্রশাসনিক ও রাজনীতিক— দু-দিক থেকেই বাংলাকে কোণঠাসা করার জোরালো পরিকল্পনা করেছে।
বাংলা-বিরোধী বিজেপি ও তাদের নেতা-নেত্রীরা এ রাজ্যের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে বিজেপির নোংরা রাজনীতি। শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার অপরাধে এ-রাজ্যের শ্রমিকদের বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে চরম হেনস্থা করা হচ্ছে। গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এ-সবের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গর্জে উঠেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলার বাসিন্দা প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের এনআরসি-র নোটিশ পাঠানো হচ্ছে, যাতে তাঁদের ভয় দেখিয়ে হেনস্থা করা যায়।
আরও পড়ুন-ভুয়ো ভিডিও নিয়ে কোর্টে যাচ্ছেন হুমায়ুন, গদ্দারের মিথ্যাচার ফাঁস
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ নামে ভোটার তালিকা সংশোধনের এক বিশেষ কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার আসল উদ্দেশ্য লক্ষ লক্ষ বাঙালিকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা। শুধু তাই নয়, বাংলার শ্রমিকদের বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে অবৈধ বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং বিএসএফ-এর সাহায্যে জোর করে সীমান্তের ওপারে পাঠানো হচ্ছে। এটা বাঙালিদের বিরুদ্ধে সরাসরি একটা যুদ্ধ। এটা এক সাংস্কৃতিক নিধনযজ্ঞ! বিজেপি বাংলায় হেরেছে, তাই এখন বাঙালিকে মুছে ফেলতে চায়।