অনিন্দিতা রায়, কুয়ালালামপুর: ষষ্ঠী থেকে দশমী, পঞ্জিকা মেনেই দুর্গোৎসব হয় এই প্রবাসে। কুয়ালালামপুরের পুজোয় বাঙালি ও ভারতীয়দের পাশাপাশি অংশ নেন মালয়েশীয়রাও। এখানেও আছে শরৎ-সকালের ঝলমলে রোদ আর উৎসবের আমেজ। বাংলার পুজোর চেনা ছবি না থাকলেও প্রবাসের দুর্গোৎসবে যতটা সম্ভব এই অনুভূতিকে ছোঁয়ার চেষ্টা করে সবাই।
আরও পড়ুন-‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি না পসন্দ, যোগীরাজ্যে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হল পড়ুয়াকে
কলকাতা ছেড়ে পুজোর দিনগুলিতে এই প্রথম এসেছি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে। আমার বর্তমান বাসস্থান থেকে কিছুটা দূরেই হয় দুর্গাপুজো। আমাদের মতোই পঞ্জিকা মেনে। বিরাট একটি হল ঘরে পুজোর আয়োজন। একসঙ্গে ফল কাটা, ভোগ রান্না, আলপনা, প্রতিমা সাজানো। ঠিক যেন নিজের বাড়ির পুজো। মণ্ডপে গেলে মনেই হচ্ছে না বাড়ি থেকে ৪ হাজার ৬১৯ কিলোমিটার দূরে রয়েছি। দেশের মতো এখানেও পঞ্জিকা মেনে শুরু হয়েছে পুজো। দশমীতে শেষ। এই ক’টা দিন সবাই মিলে একসঙ্গে হইহই। বিদেশের অন্যান্য জায়গার মতো এখানে উইকএন্ডে পুজো হয় না।
আরও পড়ুন-মানবতার খাতিরে পণবন্দি মা-মেয়েকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, দাবি হামাসের
তাই পাঁচদিন ধরেই আনন্দ। রোজই থাকছে নানা অনুষ্ঠান৷ পুজোর যাবতীয় জিনিস, পুরোহিত, ঢাকি সবই আসে কলকাতা থেকে৷ আসেন কলকাতার সেলেবরাও৷ সঙ্গে থাকে বাচ্চাদের নাচ-গান-নাটক-আবৃত্তি৷ বাংলা ব্যান্ডের দল রয়েছে এখানে৷ সঙ্গে রয়েছে ফ্যাশন শো-ও। পুজো ম্যাগাজিনও প্রকাশ করেন উদ্যোক্তারা৷ বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয় চ্যারিটির পিছনে। মালয়েশীয়রাও এখানে দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন।