শীতের শুরুতেই মুর্শিদাবাদের মতিঝিলে পরিযায়ী পাখির ঢল

আর তার প্রায় শুরুতেই নবাবি শহর মুর্শিদাবাদের মতিঝিলে হাজির হাজারো পরিযায়ী পাখি। আর তার টানে সেখানে জড়ো হচ্ছেন ভিড় পর্যটকেরাও

Must read

প্রতিবেদন : বাংলায় ধীর গতিতে আসছে শীত। আর তার প্রায় শুরুতেই নবাবি শহর মুর্শিদাবাদের মতিঝিলে হাজির হাজারো পরিযায়ী পাখি। আর তার টানে সেখানে জড়ো হচ্ছেন ভিড় পর্যটকেরাও। হালকা শীতেই মুর্শিদাবাদ থানার ঐতিহাসিক মতিঝিলে পরিযায়ী পাখিরা হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে ঝাঁক বেঁধে আসতে শুরু করেছে। ঝিল ও সংলগ্ন ডাঙায় ঘাঁটি গেড়েছে শীতের অতিথিরা। তাদের কলতানে সরগরম এখন মতিঝিল ও সংলগ্ন এলাকা। পাখি দেখতে দিনভর ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা-সহ স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন। পরিযায়ী পাখিরা আসতেই এলাকায় চোরাশিকারিদের আনাগোনা বাড়ছে। তবে এই চোরাশিকারিদের রুখতে ঝিলের চারিদিকে নজরদারি শুরু করেছেন স্থানীয়রা। মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর জানান, বিষয়টি শুনেছি।

আরও পড়ুন-পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যোন্নতি মমতাময়ী-স্পর্শে

তবে ওই ১ ওয়ার্ডের স্থানীয় মানুষ এখনও চোরাশিকার নিয়ে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই পরিযায়ী পাখিদের রক্ষায় কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে নবাবি স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন মতিঝিল মসজিদের সামনেই রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬শো বিঘে জায়গাজুড়ে অশ্বক্ষুরাকৃতি এই ঝিল। এটি নবাব আলিবর্দি খাঁর বড় জামাই নওয়াজেস খাঁ খনন করেছিলেন। নবাবি আমলে মোতি বা মুক্তো চাষ হত বলেই এটি মতিঝিল নামে পরিচিত। বেশ কয়েক দশক ধরে ঝিলটি পরিচর্চা ও সংস্কারের অভাবে বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছিল। শীতে দেখা মিলত না পরিযায়ী পাখিদের। কিছু এলেও দু-একদিন বাদে অন্যত্র উড়ে চলে যেত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ঝিল সংলগ্ন জমিতে অত্যাধুনিক পার্ক গড়ে তোলে। ঝিলটিরও সংস্কার করা হয়। ফলে অনুকূল পরিবেশ ফিরতেই ফের কয়েক বছর ধরে শীতে পরিযায়ী পাখির দল আসছে। স্থানীয়দের মতে, এ বছর পাখিরা আগাম আসা শুরু করেছে। ওদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তাই সবাই মিলে নজরদারি চালাই।

Latest article