প্রতিবেদন: বিজেপির মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) অব্যাহত নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন। শুধু মহারাষ্ট্র নয় বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যেও ঘটে চলেছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বদলাপুরের স্কুলে ২ ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার ক্ষত এখনও দগদগে। সেই একইরকম ঘটনা এবারে ঘটল মহারাষ্ট্রেরই নন্দুরবারে। পর্নোগ্রাফি দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। তবে এবারে বদলাপুরের মতো হইচই পড়ে যাওয়ার ভয়ে পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। কাজ থেকে অপসারিতও করা হয়েছে অভিযুক্ত সাফাইকর্মীকে। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ অগাস্ট। লক্ষণীয়, গত ১৩ অগাস্ট বদলাপুরে একটি কিন্ডারগাটেন স্কুলে টয়লেটের মধ্যেই এক সাফাইকর্মীর যৌননির্যাতনের শিকার হয় ২ স্কুলছাত্রী। প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। প্রশাসনের অপদার্থতাকে দায়ী করে আমজনতা।
আরও পড়ুন- বাঘের ভয়ে কাঁপছে যোগীরাজ্যের ৫০টির বেশি গ্রাম, মানুষখেকোর হামলায় হত ১১
এদিকে মহারাষ্ট্রেরই (Maharashtra) পালগড়ে কোচিং ক্লাসে ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগে নগ্ন করে ঘোরানো হল এক শিক্ষককে। বুধবারের ঘটনা। ১৩ বছরের এক ছাত্রী কিছুতেই যেতে চাইছিল না কোচিং ক্লাসে। অভিভাবকরা এর কারণ জানতে চাইলে শিক্ষকের অভব্য আচরণের কথা জানায় সে। একই অভিযোগ করে কোচিং ক্লাসের অন্যান্য কয়েকজন ছাত্রী। এরপরেই উত্তেজিত অভিভাবকরা কোচিংয়ে চড়াও হন।টেনে বের করে বেদম প্রহার করেন। তারপরে নগ্ন করে ঘোরানো হয় রাস্তায়। তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে মধ্যপ্রদেশে বিয়াওরার একটি সিভিক হাসপাতালে ঠাকুমাকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন এক কিশোরী। রাতে হাসপাতালের শৌচালয়ে তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক ব্যক্তি। বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশেরও চেষ্টা করে। কিশোরীর আর্তচিৎকারে ছুটে আসেন অন্য রোগীদের আত্মীয়রা। রক্ষা করেন তাঁকে। তাঁদেরই চাপে পড়ে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে গেরুয়া মধ্যপ্রদেশে হাসপাতালের নিরাপত্তা।
সবচেয়ে ঘৃণ্য ঘটনার সাক্ষী হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের মাচেরলা। বাবার যৌননির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ বছরের এক শিশু।