স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে রাজ্যের অসংখ্য মহিলাকে রোজগারের সন্ধান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়েছেন কমপক্ষে কয়েক লক্ষ মহিলা। রাজ্যের বেকার যুবক পুরুষদের রোজগারের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রীর সেই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। কম সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘আনন্দধারা’ প্রকল্প।
আরও পড়ুন-মৌলনা আবুল কালাম আজাদ এর জন্মদিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য
সরকারিভাবে ‘’প্রোডিউসার্স গ্রুপ’’ হিসেবে চিহ্নিত হবে এই পুরুষদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এই গ্রুপগুলি ছোট ছোট ব্যবসার কাজে নিযুক্ত থাকতে পারবে। তাদের সাহায্য করবে সরকার। ব্যবসার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে বেশ কিছু স্কিম রয়েছে। সেই স্কিমগুলিকে একছাতার তলায় এনে পুরুষদের সুযোগ দেওয়া হবে। রাজ্য সমবায় দফতরের আওতায় যে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলি আছে, সেখান থেকে এই গ্রুপের সদস্যরা সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন-দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাউদের চর! ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটালেন এনসিপির মন্ত্রী নবাব
এই প্রস্তবিত গ্রুপের প্রতিটি সদস্য প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। কে কত টাকা ঋণ নেবেন, সেটা নির্ভর করবে তাঁদের কাজ বা ব্যবসার ধরনের উপর। প্রতিটি গোষ্ঠীকে ঋণের হিসেব কষতে হবে এবং সেই তথ্য ব্যাঙ্ক শাখায় জমা করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুকে চোর বললেন বিজেপির জেলা সভাপতিই
রাজ্যের কৃষকরাও যাতে এই ধরনের গ্রুপ তৈরি করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করবে সরকার। সবারই যে কৃষিজমি থাকতে হবে, এমন কোনও ব্যাপার নেই। ভাগচাষ বা অন্যান্য ক্ষেত্রের কৃষকদেরও সেই সুযোগ দেওয়া হবে। গ্রুপের সদস্যরা সবাই মিলে যে কোনও একটি নির্দিষ্ট আর্থিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সর্বোচ্চ ১০ জন সেই গ্রুপে থাকতে পারেন। চার থেকে পাঁচ জনকে নিয়েই গ্রুপ গড়তে চায় রাজ্য কারণ এর ফলে কাজে অনেকটা সুবিধা হবে।
উদ্যান পালন, পশুপালন, মৎস্যচাষ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহণ বা পণ্য মজুতকরণের মতো ব্যবসা পুরুষরা নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন।