গণবিবাহের মাধ্যমে রবিবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল সাক্ষ্য বহন করল বর্ধমান। শহরের কাঞ্চননগরে কঙ্কালেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন মাঠে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ১০১ জোড়া পাত্র-পাত্রীর গণবিবাহ দেওয়া হল। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পাত্র-পাত্রী উপস্থিত ছিলেন এই গণবিবাহে। এই বিশাল বিয়ের আসর উপলক্ষে রবিবার মাঠ নিল মেলার চেহারা। বিবাহ আসরের আগে ১০১ জন পাত্রকে নিয়ে বাজনা-সহ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে। সমগ্র বিষয়টির উদ্যোক্তা ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। তিনি বলেন, ‘অনেকেই আর্থিক কারণে আড়ম্বরের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না। তাঁদের কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েক বছর ধরে এই গণবিবাহের আয়োজন হচ্ছে। উৎসবের চেহারা নিয়েছে এই আসর। এই নিয়ে ৯ বার বিশাল আকারে গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হল।’ গণবিবাহ উপলক্ষে সকাল থেকে সাজ-সাজ রব পড়ে যায় এলাকায়। রীতি মেনে বিয়েই নয়, সঙ্গে ছিল বরযাত্রী ও কনেযাত্রীদের আপ্যায়ন, খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও। সন্ধ্যায় মেলায় পরিণত হয় গণবিবাহের মাঠ। হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি-অবাঙালি সব জাতি-ধর্মের পাত্রপাত্রী ছিলেন। ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ-সহ অন্যরা। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বর ও কনেদের সবাইকে পাঞ্জাবি, বেনারসি থেকে সোনার আংটি, নাকছাবি-সহ খাট, বিছানা, আলমারি, সেলাই মেশিন, সাইকেল, চালডাল, আলুর বস্তা ইত্যাদি সংসারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী উপহার হিসাবে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও তাঁরা যাতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পান তারও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। সব মিলিয়ে এক ব্যতিক্রমী এবং উপযোগী হিসাবে উজ্জ্বল হয়ে থাকল এই গণবিয়ের আসর।
আরও পড়ুন- দেশের স্বার্থে একযোগে কাজ: G-20-র প্রস্তুতি বৈঠকে বার্তা মমতার