ব্যুরো রিপোর্ট : সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে হল মহরমের শোভাযাত্রা। ইংরেজবাজার শহরের ১৭টি মহরম কমিটি এদিন মিছিল করে। মিছিলে সম্প্রীতি ও দেশাত্মবোধের ছবি ধরা পড়ে। মঙ্গলবার কলিগ্রামের শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন ও সদস্য সামিউল ইসলাম সহ কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল খান। ছাড়াও গ্রাম জুড়ে শোক মিছিল, পরনে সাদা পোশাক, মুখে মুখে হাসান-হোসেনের নাম। তাজিয়া আর লাঠি খেলার নকল যুদ্ধ।
আরও পড়ুন-৩ বাগানে ফিরেছে হারানো ব্যস্ততা, আজ থেকে খুলছে রেডব্যাঙ্ক ও সুরেন্দ্রনগর চা-বাগান
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতেও দেখা যায় সম্প্রীতির ছবি। ময়নাগুড়ির নতুন বাজারে কৃষিবীজ সংরক্ষণ কেন্দ্র প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ, ময়নাগুড়ি মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়, চার নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝুলন সান্যাল, সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। ময়নাগুড়ি মহরম কমিটির সভাপতি ইমরান মহম্মদ জানান, তাঁদের এই অনুষ্ঠানে সব সম্প্রদায়ের মানুষই অংশগ্রহণ করেছেন। উত্তরে দিকে দিকে পালন করা হয় মহরম। বুনিয়াদপুর পীরতলা বুড়াপীর মাজার শরিফে সকাল থেকে উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-গঙ্গাদূষণ রোধে বিশেষ হাইড্রান্ট
মাজার শরিফের পাশে পীরতলা ময়দানে মহরমের তাজিয়া বের করে স্থানীয় মহরম কমিটি। এদিন বিকেলে মহরমের রীতি মেনে লাঠি খেলায় শুরু হয়। বংশীহারির আশপাশের প্রায় ১২টি গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ লাঠিখেলায় অংশ নিয়েছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে, সকাল থেকে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। করোনার কারণে গত দু’বছর মহরমে সেভাবে শামিল হতে পারেননি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এবছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই এই পরবে মেতে ওঠেন তাঁরা। সবমিলিয়ে মহরমকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখের পড়ার মতো।