প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন যুগের দিকে হাঁটছে বাংলা। বাংলার প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আসছে নয়া বিপ্লব। এবার গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ আসছে কলকাতায়। পুজোর আগেই তাদের নতুন ইউনিটের কাজ শুরু হবে। মার্কিন কনসাল জেনারেলের সঙ্গে সম্প্রতি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তারপরই কলকাতার অদূরেই সল্টলেকের পূর্ব প্রান্তে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অফ ইন্ডিয়া আইটি পার্কে প্রায় ১৯,০০০ বর্গফুট জমি হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি বাংলার ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন-৮০ শ্রমিক পরিবার তৃণমূলে
মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারী সংস্থা গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ কলকাতা পাওয়ার সেন্টারে নকশা ও পরীক্ষার জন্য একটি ফ্যাব-লেস সেন্টার স্থাপন করবে। পরবর্তীতে ফ্যাব্রিকেশনেও সম্প্রসারিত হতে পারে ইউনিটটি। এই কোম্পানি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩,০০০ বর্গফুট এলাকায় একটি ইউনিট করছে। আরও ১৯ হাজার বর্গফুট জায়গায় নতুন ইউনিট করতে উদ্যোগী তারা। গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ ছাড়াও স্যানটেক গ্লোবাল ইনকর্পোরেটেড, নিউ জার্সির সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা ন্যানোইলেকট্রনিক্সও কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্প স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপি ধর্ষকদের সম্মাননা দেয় কার্তিক মহারাজরাই তার প্রমাণ
গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজের সঙ্গে কাজ বাংলার তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব আনবে বলে বিশ্বাস রাজ্য সরকারের। সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য তা বিশেষ অবদান রাখবে। আরও অনেক অর্থনৈতিক সুযোগ উন্মুক্ত করে দেবে। বিশেষ করে বাংলার যুবকদের কাছে খুলে যাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমরা ইতিমধ্যেই এই শিল্পের জন্য জায়গা দিয়েছি। একটি পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স ইকোসিস্টেম তৈরিতেও আমরা আগ্রহী। এর জন্য আমরা গ্লোবাল ফাউন্ড্রি, স্টার্টআপ, একাডেমিয়া এবং অন্যান্য শিল্পের সঙ্গেও কাজ করছি। এছাড়া গ্লোবাল ফাউন্ড্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে যৌথ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের কাজ করছি আমরা। এর ফলে বাংলার শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। উল্লেখ্য, গ্লোবালফাউন্ড্রি স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং গাড়ির মতো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে ব্যবহৃত মাইক্রোচিপ তৈরি করে, যা বিশ্ব জুড়ে আধুনিক প্রযুক্তিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।