ধসে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ

পাশাপাশি দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। জলঢাকা নদীতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।

Must read

প্রতিবেদন : একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর। ধসের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্বাভাবিক হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার নতুন করে ধস নামায় রাস্তা সারাইয়ের কাজ থমকে গিয়েছে। এদিকে, দার্জিলিং জেলার বিড়িকধারার পর এবার মেল্লিবাজারে ভূমিধস অব্যাহত। বুধবার ওই এলাকায় ভূমিধসে রাস্তার একাংশ ভেঙে তিস্তায় মিশে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামা যথারীতি অব্যাহত। তিস্তাপাড়ের বাড়িঘরগুলিতে জল ঢুকছে।

আরও পড়ুন-জনসমুদ্রে ভেসে গেলেন বিশ্বজয়ীরা

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার একাধিক বাড়িতে এদিন জল ঢুকেছে। এদিনও তিস্তার জল আছড়ে পড়ে তিস্তাবাজারে। মঙ্গলবার বিকেলে চালু হলেও এদিন ফের বন্ধ হয়ে যায় পেশক রোড। ফলে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মধ্যে চলাচলকারী গাড়িগুলিকে এখন ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিকল্প যে রাস্তাগুলি রয়েছে সেখানেও ধসে বিপত্তি। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। যদিও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে প্রশাসন। পাহাড়ে পর্যটকদের সরিয়ে আনা হয়েছে। দার্জিলিং-সিকিম-কালিম্পংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ভুটান পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির ফলে জয়গাঁ-সহ আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকার পরিস্থিতিও খারাপ। ভেঙে গিয়েছে বাঁশের সাঁকো। ব্লক প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। জলপাইগুড়ির টোটকগাঁও এলাকায় দুর্গতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিবিরে। তিস্তার জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে জলপাইগুড়ির টোটকগাও এলাকা। ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা এই চার দফার প্রতি দফাতেই ১৬০০ কিউসেকের বেশি পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে। জলস্তর বাড়ছে তিস্তা নদীতে। তিস্তার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। পাশাপাশি দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। জলঢাকা নদীতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।

Latest article