জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের (Jalpaiguri medical college and hospital) ছয়তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। শারীরিক নানা সমস্যার জেরে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে করছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালী থানার পুলিশ পেশায় মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে।
বানারহাটের বাসিন্দা এই যুবক। বছর ২৮’র সন্তোষ শাহ নামে এক যুবক জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হন। নিয়মিত মদ্যপান করত তিনি জানিয়েছে পরিবার। কিডনি ও লিভারের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা চলছিল।
রোগীর বোন সন্তোষী শা জানান, তার ভাইকে চার তলা থেকে ছয় তলায় নিয়ে যাবার পর থেকেই ভাই ভয় পাচ্ছিল, তাকে বোঝানো হয়। এর পরেই বেডে গিয়ে দেখা যায় তিনি নেই। খোঁজাখুঁজি চলতে থাকে। নিচে এসে শোনা যায় লোকজন বলছে ছয় তলা থেকে একজন রোগী পড়ে গিয়েছে। পড়ে গিয়েও ভাই বেচেঁ ছিল, অক্সিজেন দেওয়া হলেও কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
আরও পড়ুন-ছাত্র মৃত্যু খড়গপুর IIT-তে
সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে জানান বৃহস্পতিবার সকালে উইথড্রল সিনড্রোম শুরু হয় সন্তোষের। কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতাল কর্মীদের বাধা অগ্রাহ্য করে ছ’তলার পাইপ লাইনে উঠে পড়ে সে। কিছুক্ষণের মধ্যে হাত ফসকে পড়ে যায়। চিকিৎসা শুরু হয়। তবে বাঁচানো যায়নি তাঁকে।