ঐতিহ্যের কালী-দৌড়ে মালদহে দেখা গেল সম্প্রীতির ছবি

তবে এই রীতির পিছনে লুকিয়ে আছে এক ইতিহাস। দৌড়ে নিয়ে যাওয়ার পর যাদের কালী প্রতিমা অক্ষত অবস্থায় থাকবে, তাদের প্রতিমাকেই প্রথমে বিসর্জন দেওয়া হবে।

Must read

সংবাদদাতা, মালদহ: ৩৫০ বছরের রীতি মেনে আজও বিদ্যমান কালী-দৌড় প্রতিযোগিতা। কাঁধে কালী প্রতিমা তুলে নিয়ে দৌড়। মালদহের চাঁচোল মালতিপুরের কালী-দৌড় প্রতিযোগিতা আজও জনপ্রিয়। মা কালীকে মাথায় নিয়ে দৌড়চ্ছে ভক্তরা। রাজার প্রচলিত রীতি মেনে মালদহের চাঁচোলের মালতীপুরে আয়োজিত হয় ঐতিহ্যবাহী কালী-দৌড় প্রতিযোগিতা। আটটি কালীপ্রতিমাকে কাঁধে নিয়ে ছোটেন এলাকাবাসীরা। কালী-দৌড় প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রচিত হয় সম্প্রীতির এক আশ্চর্য আবহ। তবে এই রীতির পিছনে লুকিয়ে আছে এক ইতিহাস। দৌড়ে নিয়ে যাওয়ার পর যাদের কালী প্রতিমা অক্ষত অবস্থায় থাকবে, তাদের প্রতিমাকেই প্রথমে বিসর্জন দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

নিজেদের পূজিত কালী প্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে ঘাটের দিকে দৌড় লাগান উদ্যোক্তারা। রাজার প্রচলিত সেই রীতি মেনেই এখনও মালদহের চাঁচোলের মালতীপুরে আয়োজিত হয় ঐতিহ্যবাহী কালী-দৌড় প্রতিযোগিতা। কালী-দৌড় প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে তৈরি হল এক অদ্ভুত পরিবেশ। কালীর বিসর্জনের পর হ্যান্টা, বাজার, শ্যামা, বুড়ি, হাট, চনকা কালী-সহ আটটি প্রতিমার দৌড় হয়। সুষ্ঠুভাবে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করতে উপস্থিত ছিলেন চাঁচোলের এসডিপিও সোমনাথ সাহা, আইসি পুর্ণেন্দু কুণ্ডু প্রমুখ। ছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা মালতীপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সী। বিধায়ককে ঢাক বাজাতেও দেখা যায়। দুই কালীর মুখোমুখি হওয়ার মুহূর্তে শঙ্খধ্বনি, উলু দেন ভক্তরা। কালী-দৌড় দেখতে মালতীপুরে মানুষের ঢল নামে।

Latest article