প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পাহাড়ে এসেছে নবজাগরণ। পৌঁছেছে উন্নয়ন। এবার কালিম্পংয়ের কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে রাজ্য সরকারের উদ্যানপালন দফতর এবং জিটিএ নিল নতুন উদ্যোগ। এই জেলার সিন্ডেবং, পুড়ুং, ও ডুংরা-এই তিন গ্রামে অসময়ে শাকসবজি ও স্ট্রবেরি চাষ শুরু হবে। জেলা উদ্যানপালন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই চাষের জন্য প্রথম দফায় প্রায় ২০০ জন কৃষককে পলিহাউস তৈরির সামগ্রী দেওয়া হবে। দ্বিতীয় দফায় ৫০০ চাষিকে বেছে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের
লাল বাঁধাকপি, রঙিন ক্যাপসিকাম, পালং, ধনেপাতা এবং স্ট্রবেরি চাষের প্রশিক্ষণও ইতিমধ্যেই দেওয়া শুরু হয়েছে কৃষকদের। পাহাড়ের প্রতিকূল আবহাওয়ায় কীভাবে হবে অসময়ের সবজি চাষ? উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে পলিহাউসগুলি হবে বাঁশের তৈরি। এক-একটি পলিহাউসের আয়তন হবে ১০০ বর্গ কিলোমিটার। প্রথম অবস্থায় চাষিরা নিজেদের চাষাবাদ করবেন। এরপর তাঁরা প্রতি বর্গমিটার হিসাবে ৭০ টাকা ভরতুকির জন্য উদ্যানপালন দফতরের কাছে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ১০০ বর্গমিটার আয়তনের পলি হাউস জুড়ে যদি কোনও কৃষক ফসল ফলাতে পারেন তাহলে তাঁর ভরতুকির পরিমাণ হবে ৭ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, এধরনের উদ্যোগ প্রথম শুরু হয় গরুবাথানে শুরু হয়। ২৩৬ জন কৃষকের পলি হাউসের ব্যবস্থা করা হয় সেখানে। চাষিরা লাভের মুখ দেখায় এবার এই পরিকল্পনায় কাজ শুরু হচ্ছে কালিম্পংয়ের প্রত্যন্ত তিন গ্রামে।
আরও পড়ুন-পদ্মশ্রীর জন্য মনোনীত বিজয়ন-অরুণ-সাব্বির
১) পলি হাউস পদ্ধতিতে চাষ
২) ফলবে অসময়ের সবজি-ফল
৩) দুই দফায় ৭০০ কৃষককে সাহায্য
৪) ভরতুকি দেবে উদ্যানপালন দফতর