শহর ছাড়িয়ে এবার জেলায় সঙ্গীতমেলা, বাড়ল দিন, গান লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী, গাইলেন ইন্দ্রনীল

Must read

প্রতিবেদন : শহর ছাড়িয়ে এবার জেলায় বিস্তৃত সঙ্গীতমেলা। কলকাতায় ১১টি জায়গার পাশাপাশি আরও ৪ জেলায় হবে এই সঙ্গীতমেলা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলা সঙ্গীতমেলা। শীতের হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে উৎসবের শহরে ফের একবার বাঙালি শামিল হবে গানের উৎসবে। ২ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা। ১১টি মঞ্চে এই অনুষ্ঠান হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেয় এবার দিনও বাড়ানো হয়েছে এই উৎসবের। বুধবার রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen) এ কথা জানান। যেভাবে রাজ্য জুড়ে সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার কারিগর যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। মন্ত্রী এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শুধু প্রশাসক নন, তিনি একজন শিল্পী। সমস্ত শিল্পীদের খোঁজ নেন তিনি। এই সঙ্গীত মেলার খোঁজ নেন। মেলায় কত লোক হচ্ছে সেই যাবতীয় বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। বিভিন্ন জেলায় তিনি সঙ্গীত মেলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গান লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই গানে সুর দিয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন।

বিরোধীদের চক্রান্তে পড়ে ১০০ পুজো কমিটি এবার রাজ্য সরকারের অনুদান ফিরিয়েছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে আরও অতিরিক্ত পাঁচ হাজার পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের অনুদান গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে পরিসংখ্যান বলছে অতিরিক্ত ৪৯০০টি পুজো কমিটিকে এবার অনুদান দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, যারা নিজেদের মতো করে দুর্গোৎসব পালন করেছে। রেকর্ড সংখ্যক লোক এবার এই দুর্গোৎসবের যোগদান করেছেন। শুধু দুর্গাপুজো নয় রেকর্ড সংখ্যক এবার কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো এবং ছটপুজো হয়েছে।
রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, মহাজাতি সদন, হেদুয়া পার্ক, মধুসূদন মুক্তমঞ্চ, একতারা মুক্তমঞ্চ, দেশপ্রিয় পার্ক, ঋষি অরবিন্দ পার্ক, মোহরকুঞ্জ, রাজ্য সংগীত অ্যাকাডেমি মুক্তমঞ্চ, রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গণে বসবে সঙ্গীত মেলার আসর। ইন্দ্রনীল সেন আরও জানান, বিশ্বের লোককে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, কিন্তু গান গাইবেন বাংলার শিল্পীরা। তাঁদের গান শুনে যান, দেখুক তাঁদের কত যোগ্যতা আছে। প্রতিবছরই নিয়ম মেনে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ আয়োজন করে এই মেলার। প্রায় ৫ হাজারের বেশি সঙ্গীতশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী ও সঞ্চালকেরা অংশ নেবেন এই মেলায়। বাংলার খ্যাতনামা বাংলা ব্যান্ড এবং নবীন ব্যান্ডগুলি দেশপ্রিয় পার্কে পারফর্ম করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও রবীন্দ্রসদন-নন্দন প্রাঙ্গণে অস্থায়ী স্টল তৈরি করে সঙ্গীত-বিষয়ক বই, রকমারি হস্তশিল্পের প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা থাকছে। থাকবে খাবারের স্টলও। অন্যান্য বছরের মতো এবারেও শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে সম্মান জানানো হবে উৎপলা সেন, সুচিত্রা মিত্র, ছবি বন্দ্যোপাধ্যায় ও কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁদের নামের শীর্ষক একটি প্রদর্শনী গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শন শালায় চলবে ২ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে নটা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যাবে।

আরও পড়ুন- ২০২৫-এর শুরুতেই সুখবর! একাধিক দফতরের শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগী রাজ্য

১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একতারা মঞ্চে শাস্ত্রীয় সংগীতের অনুষ্ঠান হবে। সেখানে আসবেন, আলি হোসেন চৌরাসিয়া, পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী, পণ্ডিত কুমার ঘোষ, উস্তাদ তন্ময় ঘোষ। এ ছাড়াও ২২ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চিলড্রেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হবে নন্দন ও রাধা স্টুডিও চত্বরে। পাশাপাশি, ৩০ জানুয়ারি থেকে কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে নিয়ে যাত্রামেলার আয়োজন করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, তিন দিনে এখানে তো যাত্রা হবেই। এ ছাড়াও আলাদা করে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে বলছি, অন্য জায়গাতেও যাত্রা করাব। কলকাতায় অন্য কেউ এই যাত্রার অনুষ্ঠান করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।

বাংলায় একমাত্র জায়গা, যেখানে ১ লক্ষ ৯৪ শিল্পীকে মাসিক ভাতা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা দেশের আর কোথাও হয় না। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করে পারিশ্রমিক পান। সরকারি অনুষ্ঠানগুলিতে, প্রচারগুলিতে তাঁদের ডাকা হয় গান গাওয়ার জন্য। বিভিন্ন ছবিতে তাঁদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় তাঁরা গ্রাম থেকে শহরে আসছেন। প্রত্যেক বছর তাঁরা বিদেশে যাচ্ছেন অনুষ্ঠান করতে। এই ধরনের প্রান্তিক মানুষ ২০১১-র পর থেকে নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন।

Latest article