প্রতিবেদন: সময় যত গড়াচ্ছে ততই দীর্ঘ হচ্ছে ওয়েনাড়ে (Wayanad) মৃতের তালিকা। শেষ পাওয়া খবরে ইতিমধ্যে ৩৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি এখনও নিখোঁজ ২৬০ জনেরও বেশি মানুষ। জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। অসংখ্য প্রাণহানির মধ্যে এবার পশুদের জন্যও পৃথক একটি কন্ট্রোল রুম খুলল কেরল সরকার। সূত্রের খবর, কেরলের বিপর্যস্ত এলাকা থেকে যে সমস্ত পশুদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে, তাদের এই কন্ট্রোল রুমে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তাদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি সবরকম পরিষেবা দেওয়া হবে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পশুরা সুস্থ হয়ে উঠলে তাদের সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-হলফনামা জমা এসএসসি ও পর্ষদের
কেরলের চূড়ালমাল গ্রামে ২৪ ঘণ্টার ওই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যাঁরা ওই পশুদের নিতে ইচ্ছুক, তাঁদের সরকারের কাছে আবেদন জানাতে হবে। তারপরই তাদের পশুপালকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, ভূমিধসের পর বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পশুদের মাথার উপর ছাদ দেওয়া হচ্ছে। অসহায় হয়ে ওদের থাকতে হবে না। তবে শুধু গবাদি পশুই নয়, পাখিদেরও উদ্ধার করে ওই কন্ট্রোল রুমে রাখা হচ্ছে বলে খবর। এই কন্ট্রোল রুমে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি কাজ করছে। সূত্রের খবর, কেরল সরকারের কন্ট্রোল রুমে বর্তমানে একাধিক পশু চিকিৎসক রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট পশু বা পাখিকে খাঁচায় ভরে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গত ২৯ জুলাই রাতে ওয়েনাড়ের পাহাড়ি এলাকায় আচমকা ধস নামে। সেই বিপর্যয়ে চারটি গ্রাম পুরো নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।