সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প ইতিমধ্যেই রূপায়ণ করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। এবারে রাজ্যে প্রথম কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কৃষি খেতে সরকারি জল পৌঁছে দেবে পাইপের মাধ্যমে। আর এই প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে চাষের জমিতে কৃষকদের জলের সমস্যা মিটতে চলেছে চিরকালের জন্য। বাইরের দুই একটা রাজ্যে এই ব্যবস্থা থাকলেও বাংলায় এই প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাকে ‘পাইপ ইরিগেশন’–এর আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। চার জেলার ৯৮ হাজার হেক্টর কৃষিজমি এই ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ায় অভিযুক্ত বিজেপি-দুষ্কৃতীরা
এর মধ্যে শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি জেলাতেই ৩৫ হাজার হেক্টর কৃষিজমিতে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে। জলপাইগুড়ির কৃষি অধিকর্তা গোপালচন্দ্র সাহা বলেন, পাইপ ইরিগেশন আজকের দিনে উন্নত সেচ ব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ। এই ব্যবস্থায় একে তো ঠিকমতো চাষ করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে জলের অপচয়ও ঠেকানো যাবে। চাষের জন্য জমিতে ঠিক যতটুকু জলের প্রয়োজন, কৃষক সেটুকু নিয়েই কৃষিকাজ করতে পারবেন। জানা যায়, কৃষিমন্ত্রক ও রাজ্য কৃষি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প রপায়ণে তিস্তা ব্যারেজ ডিভিশন কর্তৃপক্ষ উত্তরবঙ্গে কৃষি দফতরকে সহযোগিতা করবে। তিস্তা সেচ প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে এই ব্যবস্থাটি কাজ করবে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি অধিকর্তা ও তিস্তা ব্যারেজ ডিভিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই ব্যবস্থার বরাত পাওয়া সংস্থার বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। মাটির এক মিটার নীচ দিয়ে তুলনামূলক মোটা পাইপলাইন বিভিন্ন কৃষিজমিতে নিয়ে যাওয়া হবে। পাইপলাইনের ট্যাপ থেকে কৃষক প্রয়োজনমতো জল নিয়ে নিতে পারবেন। এই ব্যবস্থার বরাত পাওয়া সংস্থার কর্মী বিসি ঝা’র বলেন, ‘ক্যানাল ও সেচের মাধ্যমে কৃষিজমিতে জল দেওয়ার যে ব্যবস্থা আছে তার তুলনায় এই ব্যবস্থা অনেকটাই বেশি কার্যকর হবে। অনেক সময় অতিরিক্ত জলে ফসলের ক্ষতি হয়। এই ব্যবস্থায় সেই সম্ভাবনাও থাকবে না। সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন কৃষিজমিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত এই ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।