প্রতিবেদন : পড়ুয়ার মর্মস্পর্শী সুইসাইড নোট। তাতে সে লিখে গেল, মা আমি চুরি করিনি। তার মৃত্যু রেখে গেল অসংখ্য প্রশ্ন।
ঘটনা পাঁশকুড়ার গোঁসাইবের বাজারের। অভিযোগ, সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া একটি দোকান থেকে নাকি কুরকুরের প্যাকেট চুরি করেছে। এই অভিযোগে তাকে দোকান মালিক শুভঙ্কর মাইতি সকলের সামনে কান ধরে ওঠবোস করায়, সেই সঙ্গে মারধরও করা হয়। ঘটনার সময় বারবার সেই ছাত্রটি বলেছে, সে চুরি করেনি। কুড়িয়ে পেয়েছে। কিন্তু তার কথা শোনা হয়নি। সকলের সামনেই তাকে অপমানিত করে দোকান মালিক, যে কিনা আবার সিভিক ভলান্টিয়ারও। অপমানিত পড়ুয়া বাড়িতে গিয়ে কাঁচা হাতে একটি সুইসাইড নোট লেখে। যাতে সে লিখেছে, ‘মা আমি বলে যাচ্ছি যে আমি কুরকুরেটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। চুরি করিনি।’ তারপরেই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা।
ঘটনার জেরে গোঁসাইবের এলাকায় প্রবল উত্তেজনা, একইসঙ্গে শোকের ছায়া। অভিভাবক জানিয়েছেন, চিপস কিনতে বেরিয়েছিল কৃষ্ণেন্দু। দোকানদারকে বারবার ডেকেও সাড়া পায়নি। শেষে একটি চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকায় তা কুড়িয়ে নেয়। বাড়ি ফেরার সময় দোকানের মালিক বাইক নিয়ে তার পিছনে তাড়া করে এবং ভরা বাজারের মধ্যে চিপস চুরি করার অপরাধে মারধর এবং কান ধরে ওঠবোস করায়। ঘটনাস্থলে কৃষ্ণেন্দুর মা পৌঁছে তাকে বকঝকা করে চিপসের দাম মিটিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু অপমানের জ্বালায় কিছুক্ষণ পরেই সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া কীটনাশক খায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। প্রশ্ন, কেন কোনও একজনের বিকৃত মানসিকতার শাস্তি পেতে হবে একটি পড়ুয়াকে? এটা কোন সমাজ? এতটুকু সহনশীলতা থাকবে না? কড়া শাস্তির দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন: শিল্পেও এবার বাংলার জয়কেতন