প্রতিবেদন: দেশের আদালতগুলিতে বকেয়া মামলার পাহাড়। সুবিচার পেতে দশক গড়িয়ে যায়। এই সমস্যা নিয়ে বরাবরই উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশের ইতিহাসে প্রথমবার সর্বোচ্চ আদালতে বসেছিল লোক আদালত। উদ্দেশ্য ছিল, সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া মামলার শুনানি। আগামী বছর এমনভাবে ফের ছয় মাস ধরে বকেয়া মামলার শুনানির প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধান বিচারপতি। রবিবার সুপ্রিম কোর্টের পতাকা ও প্রতীক উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানেই এই প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
আরও পড়ুন-শিক্ষারত্ন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক
চলতি বছর জুন মাসে প্রথমবার লোক আদালতের আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির দাবি, পাঁচদিনের লোক আদালতে এক হাজার মামলার শুনানি হয়েছে, নিষ্পত্তিও হয়েছে। কমিয়ে আনা গিয়েছে অনেক বকেয়া মামলা। সেই অনুকরণেই ২০২৫ সালে জানুয়ারি থেকে জুন ফের বসবে বিশেষ আদালত, যেখানে বকেয়া মামলার শুনানি হবে, জানান দেশের প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, বিচারক ও বিচারপতিদের প্রবল মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই তাঁদের সাধারণ স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার পথ খোঁজার বিষয়টিতেও নজর দিতে হবে।
রবিবার রাষ্ট্রপতির হাতে উদ্বোধন হল সুপ্রিম কোর্টের পতাকার। পতাকায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের চিহ্ন। সেই চিহ্নে রয়েছে অশোক চক্র, সুপ্রিম কোর্ট ও ভারতের সংবিধানের ছবি। রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল।
আরও পড়ুন-জেলায় জেলায় বর্ণময় সচেতনতা পদযাত্রা, দুই পুলিশকর্তাকে সেবাপদক
সম্প্রতি বারবারই আদালত গুলিতে বকেয়া মামলার পাহাড় নিয়ে অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত সর্বোচ্চ আদালত। এর কারণ হিসাবে দেশের আদালতগুলিতে শূন্যপদে উল্লেখ করেন রবিবার প্রধান বিচারপতি। তিনি তথ্য পেশ করে জানান, আইনের কর্মীর ক্ষেত্রে শূন্যপদ ২৭ শতাংশ, নন-জুডিশিয়াল পদে শূন্যপদ ২৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সামনে এই শূন্যপদের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি। সম্প্রতি বাংলায় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টগুলি চালু না করতে পারা নিয়েও কেন্দ্র সরকারের গড়িমসির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধান বিচারপতির দাবি কার্যত সেই অভিযোগকেই সমর্থন করল।