প্রতিবেদন : মোদি সরকারের আমলে রেল মানেই যন্ত্রণা। নিত্য দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। চূড়ান্ত অব্যবস্থা। যাত্রী সুরক্ষার বালাইটুকুও নেই। এমনকী নিরাপদ নন রেলকর্মীরাও। শনিবার হাওড়া দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় লাইনচ্যুত হল সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস। বরাতজোরে বাঁচলেন যাত্রীরা। অন্যদিকে বিহারের বেগুসরাইয়ে দুটি বগির মাঝখানে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেলেন অমরকুমার রাউত নামে এক রেলকর্মী।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার ভোর ৫টা ৩১ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের নলপুর স্টেশনের কাছে শালিমারগামী সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসটি মাঝের লাইন থেকে ডাউন লাইনে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরপর তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বিকট শব্দে ঝাঁকুনি দিয়ে থমকে যায় চলন্ত ট্রেন। আতঙ্কে ট্রেন থেকে বাইরে ঝাঁপ দেন বহু যাত্রী। অনেকে ট্রেনের মধ্যে প্রাণভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। যাত্রীরা বলেন, আচমকা বিকট ঝাঁকুনি দিয়ে থমকে যায় ট্রেন। সবাই ভয় পেয়ে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়। দূরপাল্লার অনেক ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়। কিছু ট্রেনের গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে দুর্ভোগে পড়েন বহু যাত্রী। একের পর এক এই দুর্ঘটনার জন্য রেলের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবই দায়ী। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বলছেন, রেল কর্তৃপক্ষের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রেল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপই করছে না। ফলে প্রাণ হাতে নিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন সফর করতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানান, কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-৯ জনেও প্রথম পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের
অন্যদিকে, শনিবার বিহারের বেগুসরাইয়ের বারাউনি জংশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কাপলিং খোলার কাজের সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি বগির মাঝে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যান রেলকর্মী। মৃত রেলকর্মীর নাম অমরকুমার রাউত (৩৫)। তিনি ভারতীয় রেলে শান্টিং ম্যান হিসাবে কাজ করেন। শনিবার সকালে বারাউনি লখনউ এক্সপ্রেসের কাপলিং খুলে ইঞ্জিনটিকে বগির থেকে আলাদা করছিলেন। সেই সময়েই ইঞ্জিন এবং বগির দুটি বাফারের মাঝে পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যান।